স্টার জলসার (Star Jalsha) টপার ধারাবাহিক (Bengali Serial) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) প্রাণভোমরা বলা হয় সোনা (Sona)-রূপাকে। এই দুই চরিত্রে অভিনয় করে খুব কম সময়ের মধ্যেই দর্শকদের নয়নের মণি হয়ে গিয়েছে শিশুশিল্পী মিশিতা রায়চৌধুরী (Misheeta Ray Chowdhury) এবং সৃষ্টি মজুমদার। পুঁচকে বয়সে তাঁদের তুখোড় অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছে সকলে। তবে এবার নিজের পেশাদারিত্বের (Professionalism) মাধ্যমে সবার মন জয় করে নিল পর্দার সোনা ওরফে মিশিতা।
‘অনুরাগের ছোঁয়া’র নিয়মিত দর্শকরা জানেন, সিরিয়ালের কাহিনী এই মুহূর্তে সোনা এবং রূপাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। সূর্য এখনও নিজের দুই মেয়ের জন্ম পরিচয়ের বিষয়ে জানে না। এখনও পর্যন্ত সে দীপাকেই দুশ্চরিত্রা ভাবে। বাবা-মায়ের এই ভুল বোঝাবুঝির জন্য মাঝখানে পিষছে ছোট্ট সোনা আর রূপা। শুরুতে তাঁদের ছলবলে, হাসিখুশি দেখা গেলেও, এখন বেশিরভাগ সময়েই তাঁদের চোখে জল দেখতে পায় দর্শকরা।
এইটুকু বয়সেই চরিত্রের নানান শেড নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলে দর্শকদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে মিশিতা এবং সৃষ্টি। তবে এবার নিজের পেশাদারিত্ব বোধের পরিচয় দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল ছোট্ট সোনা। সবাই তাঁর প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ হয়ে গিয়েছে।
নিজের আধো আধো কথা এবং পরিণত অভিনয়ের মাধ্যমে আগেই দর্শকদের মুগ্ধ করেছে পর্দার সোনা ওরফে মিশিতা। তবে শুধু দুর্দান্ত অভিনয় করাই নয়, এই বয়সে প্রচণ্ড পেশাদার একজন শিল্পী সে। কারণ শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও শ্যুটিং করে যাচ্ছে ছোট্ট মিশিতা।
এখন অনেকের চোখেই জয় বাংলা হচ্ছে। আর চোখের কষ্ট যে বড় বালাই তা কারোও অজানা নয়। ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের কৃষ্ণা তথা অরিজিতা মুখোপাধ্যায়ের জয় বাংলা হয়েছে। এবার ছোট্ট সোনাও এই রোগের শিকার হয়েছে।
তবে চোখের এই অসুখ সত্ত্বেও মিশিতা কিন্তু নিজের শ্যুটিং বন্ধ রাখেনি। শারীরিক অসুস্থতাকে তোয়াক্কা না করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সে। ছোট্ট সোনার এই পেশাদারিত্বই মুগ্ধ করেছে সকলকে। তাঁর কাজের প্রতি ভালোবাসাকে কুর্নিশ জানিয়েছে সকলে।