বাংলা টেলিভিশনের ‘পাওয়ার কাপল’ বলা হয় নবনীতা দাস (Nabanita Das) এবং জিতু কমলকে (Jeetu Kamal)। স্ত্রী ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ, অপরদিকে স্বামী টলিউডে চুটিয়ে (Tollywood) কাজ করছেন। অনুরাগীদের কথায়, জিতু-নবনীতা হলেন আদর্শ জুটির উদাহরণ। তবে সম্প্রতি সেই নবনীতাই জানিয়েছেন, গত ৩-৪ মাস ধরে নাকি স্বামীর সঙ্গে কথা নেই তাঁর!
বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় নায়িকাদের (Bengali Serial Actress) মধ্যে একজন হলেন নবনীতা। বিয়ের আগে একাধিক সিরিয়ালে লিড রোলে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে সাত পাক ঘোরার পর থেকেই যেন ডুমুরের ফুল হয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী! এখন অবশ্য ‘বিয়ের ফুল’ সিরিয়ালে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। চেনা ছক ভেঙে একেবারে অন্য রকম চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
সম্প্রতি নবনীতাই এক নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেছিলেন। সেখানে নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবন- সব কিছু নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারেই অভিনেত্রী জানান, গত ৩-৪ মাস ধরে স্বামীর সঙ্গে কথা নেই তাঁর! কিন্তু হঠাৎ কী এমন হল যে এত দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলা বন্ধ তারকাজুটির?
নবনীতা জানান, ‘আমি জিতুর ডেট পাই না। আমার আর ওঁর খুব কম কথা হয়। গত ৩-৪ মাস সেরকম কথাই হয়নি আমাদের। আসলে আমাদের দু’জনের রুটিনে অনেকটা ফারাক রয়েছে। সিরিয়ালের একটা নিজস্ব নিয়ম থাকে। তবে সিনেমা মানেই প্রত্যেকদিন কিছু না কিছু কাজ থাকে। মাঝেমধ্যেই তো বাড়ি বসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা মিটিং চলতে থাকে’।
‘অপরাজিত’য় অভিনয় করার পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি জিতুকে। এখন টলিউডের প্রথমসারির অভিনেতাদের তালিকায় গণ্য করা হয় তাঁকে। এই মুহূর্তে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘বাবুসোনা’ ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন জিতু। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই এক পেশায় থাকায় কখনও ইগোর সমস্যা হয়নি?
নবনীতাকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সাফ বলেন, ‘আমাদের এবং অন্য জুটির সমীকরণ আলাদা। তাছাড়া এই ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেকে রয়েছেন যারা আদতে স্বামী স্ত্রী। আমি জিতুর থেকে বয়সে ১০ বছরের ছোট, কাজের দিক থেকে সিনিয়র। সেই জন্য এখানে ইগোর কথাই আসছে না। ওঁর যদি উন্নতি হয়, আমি কেন হিংসা করবো, বা উল্টোটাও কেন হবে? ও আমার থেকে অনেক বেশি পরিশ্রমী। আমরা দু’জন কাজের বাইরে নিজেদের দুনিয়া নিয়ে থাকি। এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই’।