বাংলা বিনোদন জগতে অন্যতম জনপ্রিয় একজন নায়িকা বলা খলনায়িকা ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহা। একটা সময় ছিল যখন তিনি দাপিয়ে কাজ করেছেন একের পর এক বাংলা সিনেমায়। তখনকার দিনে বেশীরভাগ সিনেমা যেমন ‘মায়ের আঁচল’ কিংবা ‘স্বামী কেন আসামী’ ছিল কমার্শিয়াল সিনেমা। আর এইসব সিনেমাতেই অত্যন্ত চেনা মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
তবে এখনকার দিনে সিনেমার বিষয়বস্তুতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। এখনকার কমার্শিয়াল সিনেমাতে তো বটেই দর্শকদর পছন্দের তালিকায় থাকা তথাকথিত ফিল্মেও এসেছে বিরাট বদল। তবে এখনকার দিনে সিনেমাতে আর অভিনয় করতে দেখা যায় না অনামিকা সাহাকে।বহুদিন তিনি ছিলেন ক্যামেরার অন্তরালে। সম্প্রতি জি বাংলার হাত ধরে ছোট পর্দায় কামব্যাক করেছেন তিনি।
ইদানিং জি বাংলার ‘লালকুঠি’ সিরিয়ালে ঠাম্মি চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। যদিও সিরিয়ালে তার চরিত্র টি একটি পজিটিভ চরিত্র। বএখন এই বয়স ৮০ বছর। সম্প্রতি সিরিয়ালের একটি পর্বে এই বয়সে অভিনেত্রীকে জনপ্রিয় হিন্দি গান ‘চাকাচাক’ গানে নাচতে দেখা গিয়েছে। এই বয়সে এসেও তার এমন এনার্জি দেখে চমকে গিয়েছেন নেটিজেনরা।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত অনামিকা সাহার নাম নিয়েও রয়েছে একটা মজার গল্প। আসলে এই অভিনেত্রীর আসল নাম ঊষা সাহা। ‘আশার আলো’ ছবি দিয়ে প্রথমবার অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। তখন সেই সিনেমার সহকারি পরিচালক তাকে বলেছিলেন অচেনা জায়গায় তার আইডেন্টিটি কখনো কারোর কাছে প্রকাশ না করতে। তাই সেকথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন অভিনেত্রী।
তবে একদিন তার কাছে ষ্টুডিও পড়ার একজন তাকে নাম জিজ্ঞেস করার তিনি কিছুতেই নিজের নাম জানাননি। তখন সেই ভদ্রলোক বিরক্ত হয়ে তাকে বলেছিলেন ‘তুমি কি অনামিকা’?, সে সময় অভিনেত্রী বলেছিলেন ‘হ্যাঁ আমি অনামিকা’ সেই থেকেই উষা সাহা হয়ে যান অনামিকা সাহা। জানা যায় বোধিসত্ত্ব মজুমদারের সাথে বিয়ের পর তার শ্বশুর মশাই তাকে সাহসী চরিত্রে অভিনয় করতে বারণ করেছিলেন।
নিজের সুন্দর কণ্ঠস্বরের জন্য পরবর্তীতে আকাশবাণীতে রেডিও নাটক করে ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া আরো একটি কারণে বিখ্যাত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। মুম্বাই থেকে সেই সময় যত নায়িকা বাংলা সিনেমা করতে আসতেন তাদের গলার বাংলা ডাবিং করে দিতেন তিনি। এভাবে তিনি জুহি চাওলা থেকে শুরু করে নিলাম ডাবিং করেছেন একাধিক নায়িকার গলা।