আর টলিউডের প্রথম সারির তারকাদের মধ্যেই পড়েন জিৎ (jeet)। তাই বাংলার সিনেমাপ্রেমীদের কাছে অন্যতম সুপারস্টার হলেন জিৎ। অভিনয়ের বাইরে বাস্তব জীবনেও আদ্যোপান্ত জেন্টলম্যান এই অভিনেতা। আর আজ তার ৪৩ তম জন্মদিন। টলিউডে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে। ‘সাথী’ ছবি দিয়ে টলিউডের যাত্রা শুরু করেছিলেন জিৎ। প্রথম ছবিই সুপারহিট, মিলেছিল দারূন সাফল্য। এর পর আর কোনোদিন পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
এরপর একের পর এক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে আজ বাংলার সুপারস্টার হয়ে উঠেছেন জিৎ। তবে সুপারস্টার হয়েও তারকা সুলভ কোনো অহংকার বোধ নেই তার মধ্যে। তবে শুধু অভিনয় নয় অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট নিয়েও দারুন সচেতন জিৎ। নিজের পোশাক, থেকে জুতো এবং অনান্য এক্সেসরিজ এমনকি জামাকাপড়ের রঙ সহ পারফিউম সব বিষয়েই একেবারে নিঁখুত থাকেন এই সুপারস্টার।
অথচ আজকের এই সুপারস্টার একসময় টাকার অভাবে জামাকাপড় কিনতেন নিউমার্কেট থেকে। জানা যায় তখন জিতের বয়স ১৬ কী ১৭। তখন সবেমাত্র অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই ক্যালকাটা বয়।কিন্তু তখনও পর্যন্ত অভিনয় করেননি একটাও ছবিতে। এপ্রসঙ্গে একবার এক সাক্ষাৎকারে এক মজার ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন জিৎ।
তিনি জানান একবার একটা বার্থডে পার্টির নেমন্তন্নে যাওয়ার জন্য তিনি নিউ মার্কেটে ড্রেস কিনতে গিয়েছিলেন। সেই পোশাক পরে পার্টিতেও গিয়েছিলেন। তবে পরের দিনই হঠাৎই তার মনে পড়ে যায় আবার একটা পার্টি রয়েছে। কিন্তু ওয়ার্ড্রোবে পরার মতো নতুন কিছু ছিল না! তাই তখনই তিনি সোজা চলে যান নিউ মার্কেটের সেই দোকানে। সেখানে গিয়ে বললেন যে পোশাকটা নিয়ে গিয়েছিলেন, সেটা পছন্দ হয়নি। তাই পাল্টে অন্য পোশাক নেবেন।
এপ্রসঙ্গে হাসতে হাসতে জিৎ বলেছিলেন ‘পোশাক পাল্টে অন্য একটা নিলাম। সেটা পরেই গেলাম পার্টিতে। তখন পয়সা কোথায় যে রোজ রোজ নতুন পোশাক পরে যাব! অগত্যা।’ আর এখন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ফ্যাশন সচেতন নায়ক তিনি। পোশাকের রঙ থেকে রিস্টলেটস, নেকপিসেস, কানের দুল সব কিছু নিয়েই এক্সপেরিমেন্ট ভালোবাসেন অভিনেতা। আর সেই কারণেই সিনেমার শুটিংয়ে গিয়েও নিজের ওয়ার্ড্রোব থেকে কিছু কিছু জিনিস নিয়ে চলে যান তিনি।