আকাশে বাতাসে এখনও লেগে রয়েছে শীতের (Winter) আমেজ। আর শীত বললেই তো বাঙালির মন ঘুরু ঘুরু করতে শুরু করে দেয়। যদিও বড়দিন, বর্ষবরণের পর এখন টানা ছুটি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই আজকের প্রতিবেদনে কলকাতার (Kolkata) কাছাকাছি এক অপূর্ব জায়গার হদিশ (Travel destination) দেওয়া হল যেখানে দু’দিনের ছুটিতে ঘুরে আসতেই পারেন। আর সেই সঙ্গেই উপভোগ করতে পারেন পাহাড় এবং জঙ্গলের আনন্দ।
আজ যে জায়গাটির খোঁজ দেওয়া হল সেটি পড়শি রাজ্য ওড়িশায়। তবে ওড়িশা শুনেই পুরীর কথা ভাববেন না কিন্তু। আজ যে জায়গার খোঁজ দেওয়া হল সেখানে রয়েছে পাহাড়ের স্বর্গসুখ এবং সেই সঙ্গেই জঙ্গলের রহস্য। শীতে দু’দিনের ছুটিতে এমন একটা জায়গায় গেলে খুব একটা মন্দ হয়না বলুন? তাহলে আর দেরি কেন, বেড়িয়ে পড়ুন সিমলিপালের (Simlipal) উদ্দেশে।
কী দেখবেন?- শোনা যায়, ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমলিপাল জেলার নামকরণ হয়েছিল শিমুল গাছের আধিক্য থাকার জন্য। তবে এখন শিমুল ফুলের মরসুম নয়। তবে এখানে প্রায় ২৭৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে অভয়ারণ্য। শুধু তাই নয়, রয়েছে জাতীয় উদ্যানের তকমাও।
আজ থেকে প্রায় ৫৩ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮০ সালে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল সিমলিপাল। এরপর থেকেই জায়গাটির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। অবশ্য শুধু বাঘ নয়, এখানকার জঙ্গলে দেখা মেলে চিতল হরিণ, বুনো হাতি, বনবিড়াল, বুনো খরগোশ, বুনো শুয়োর-সহ একাধিক পশু এবং বিভিন্ন ধরণের পাখির।
শুধু এটুকুই নয়, আপনি যদি জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে যান তাহলে শুনতে পারবেন ঝারান্দা এবং বরহিপানি জলপ্রপাতের আওয়াজ। এই শীতে অবশ্য ঝরনার রূপ খুব একটা খোলে না। তবে বর্ষাকালে দেখলে প্রেমে পড়তে বাধ্য। এই জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে রয়েছে দু’টি রাস্তা। যদি হাতে সময় নিয়ে যান তাহলে দু’দিকেই চলে যেতে পারবেন। এছাড়া সকালে এবং বিকেলে হেঁটে ঘুরে আসতে পারেন বুড়িবালামের ধার থেকে।
কোথায় থাকবেন?- আপনার ভাগ্য ভালো থাকলে ওড়িশা পর্যটনকেন্দ্রের নিজস্ব বনবাংলোয় থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কিন্তু এই সময় ঘর পাওয়া বেশ কঠিন। তবে তাই বলে চিন্তার কিচ্ছু নেই। এখানে বিভিন্ন মানের এবং বিভিন্ন দামের বহু হোটেল এবং রিসর্ট রয়েছে। এছাড়া ভুবনেশ্বর তো রয়েছেই। যদি সময় নিয়ে যান, তাহলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতেই পারেন।