শুধুমাত্র খ্যাতনামা অভিনেতা অনুপম খেরের (Anupam Kher) স্ত্রী হিসেবে নয়, অভিনেত্রী কিরণ খের (Kiran Kher) লোকসমাজে পরিচিত বলিউডের (Bollywood) এক দুঁদে অভিনেত্রী হিসেবে। গত এপ্রিলে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হন কিরণ। সেই প্রসঙ্গে সর্বপ্রথম প্রকাশ পায় অনুপম খের টুইট বার্তায়। আপাতত চিকিৎসাধীন কিরণ খের। স্বভাবতই কিরণের এহেন লড়াকু ও কঠিন মানসিকতাকে সেলাম জানিয়েছেন নেটিজেনরা। অন্যদিকে কিরণের মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনুপম ও তাঁদের পুত্র সিকন্দর (Sikandar Kher)। যদিও এই সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেই সিকন্দরের বিয়ে নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কিরণ!
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন সিকন্দর। ভিডিওর শুরুতেই কিরণ ও অনুপমকে সিকন্দরের বিয়ে নিয়ে স্পষ্ট কথা বলতে শোনা যায়। ভিডিয়োতে কিরণ বলেন, “৪১ বছরের সিকন্দরের উচিত এইবার বিয়ে করা।” ভিডিয়োয় অনুপম খেরকে স্যুপ খেতে দেখা যায়, পাশের সোফায় বসে বিশ্রাম নিতে দেখা যায় কিরণকে। ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর এই প্রথম ক্যামেরার সামনে এলেন কিরণ, সকলকে ধন্যবাদও জানালেন তাঁর সুস্থতা কামনা করার জন্য।
সূত্রের খবর, কিরণের চিকিৎসার উদ্দেশে জন্য গঠিত হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড। তাছাড়া আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরাও সর্বদা রয়েছেন খের পরিবারের পাশে। অনুপম খের বলেছেন, “কিরণকে নিয়ে গুজব ছড়াবেন না। কিছুদিন আগেই করোনার টিকা নিয়েছেন কিরণ। ওঁর পাশে থাকুন ও ওঁর জন্য প্রার্থনা করুন।”
সবমিলিয়ে কিরণ খেরের অভিনয়জীবন বেশ বর্ণময়। থিয়েটারের পাশাপাশি বলিউডেও বিভিন্ন চরিত্রে স্বমহিমায় অভিনয় করে গেছেন কিরণ। ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno ghosh) পরিচালিত বাংলা ছবি (Bengali Film) ‘বাড়িওয়ালি’-তে (Bariwali) মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন কিরণ। যদিও কিরণ একেবারেই বাংলা বলতে পারতেন না, তাই তাঁর বাংলা ডাবিংয়ের দায়িত্ব সামলান অভিনেত্রী রীতা কয়রাল (Rita koyral)।
View this post on Instagram
‘বাড়িওয়ালি’-র মতো বাংলা ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার হাসিল করে নেন কিরণ। ‘সর্দারি বেগম’ ছবিতে অসামান্য অভিনয়ের দরুণ তাঁর ঝুলিতে আসে আরও এক জাতীয় পুরস্কার। রুপোলি পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি কালার্স চ্যানেলে ‘ইন্ডিয়া’জ গট ট্যালেন্ট’-এ করণ জোহর (Karan Johar) ও মালাইকা অরোরা খানের (Malaika Arora Khan)-র পাশাপাশি বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিরণ। তাছাড়া লোকসভায় বিজেপির সাংসদ হিসাবে কিরণের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষ্যণীয়।