জি বাংলার ‘সারেগামাপা’র হাত ধরে ভারত এবং বাংলাদেশ- দুই বাংলাতেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মইনুল আহসান নোবেল (Mainul Ahsan Noble) ওরফে নোবেল (Noble)। ওপার বাংলার এই গায়ক জি বাংলার রিয়্যালিটি শোয়ে অংশগ্রহণ করে দর্শকদের থেকে ব্যাপক ভালোবাসা পেয়েছিলেন। নিজের দুর্দান্ত গায়কীর মাধ্যমে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। তবে দেশে ফেরার পরেই ভোলবদল হয় তাঁর।
নারীসঙ্গ থেকে শুরু করে মাদক সেবন- নোবেলের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করে একাধিক গুরুতর অভিযোগ। বিতর্কে জর্জরিত হয়ে আস্তে আস্তে যেন হারিয়ে যেতে থাকে সেই পুরনো নোবেল। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কলকাতা হয়ে ‘সারেগামাপা’- নোবেলের নিশানা থেকে বাদ যায়নি কিছুই।
যে শো থেকে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি, সেই শো সম্বন্ধেও কুরুচিকর মন্তব্য করে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন নোবেল। তবে দুই বাংলার মানুষদের ধৈর্যের বাঁধ তখন ভাঙে যখন গায়ক ‘কবিগুরু’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে (Rabindranath Tagore) নিশানা করেন। ‘কবিগুরু’কে নিয়ে তিনি যা পোস্ট করেছিলেন তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে নোবেল লিখেছিলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ-নজরুল তো আর নবী কিংবা দেবতা না যে তাঁদের গান প্যারোডী আকারে গাওয়া যাবে না! যে রবীন্দ্রনাথ এদেশের কবিদের মূল্যায়ন করে যাই নাই তারে নিয়ে এদেশে চর্চা করা হয় এটাই রবীন্দ্রনাথের জন্য বেশি। তাছাড়া বাংলাদেশের সাহিত্যে যেহেতু রবীন্দ্রনাথের অবদান নিতান্তই কম, নেই বললেই চলে, সেক্ষেত্রে তাঁর গান এদেশের কেউ যদি প্যারোডি আকারে গান সেটা রবীন্দ্রনাথের জন্যই মঙ্গলজনক’।
প্রসঙ্গত, সেই সময় বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকা হিরো আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বিকৃত করে গেয়েছেন। সেই সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে এগিয়ে এসেছিলেন নোবেল। তখনই ‘কবিগুরু’কে অপমান করেন গায়ক।
এখানেই অবশ্য থামেননি তিনি। নোবেলের সংযোজন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর রাবীন্দ্রিক সাহিত্যচর্চা অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে বয়কট করা হউক। আমাদের জাতীয় কবি নজরুল! বিদ্রোহী কবি। যখন আমাদের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ছিলেন। রোজ ব্রিটিশদের কাছে কারাবন্দী হতেন, কনডেম সেলে টর্চারের শিকার হচ্ছিলেন, তখন ব্রিটিশদের চাটুকারিতা করে সো কল্ড বিশ্বকবি বিন্দাস আমাদের বাপ-দাদার রক্ত চুষে খাচ্ছিল’। নোবেলের এই পোস্টের জন্য দুই বাংলাতেই প্রবল বিতর্ক হয়েছিল। এক বছর হয়ে গেলেও সাধারণ মানুষ কিন্তু সেই বিতর্কের কথা ভোলেননি।