জি বাংলার সারেগামাপা (Sa Re Ga Ma Pa) খ্যাত বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক হলেন মইনুল আহসান নোবেল (Nobel)। বিগত কিছুদিন ধরেই শিরোনামে রয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেই নোবেলের স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনে বলেছিলেন নোবেল নাকি মাদক ছাড়া থাকতে পারবেন না বলে নিজের স্ত্রীকেই ছেড়ে দিয়েছেন।
প্রকাশ্যে নোবেলের বিরুদ্ধে মাদক সেবন না ছেড়ে স্ত্রীকে ছাড়ার অভিযোগ আনার পর থেকেই একাধিক হুমকি ফোন পাচ্ছেন বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন নোবেলের স্ত্রী। প্রসঙ্গত সারেগামাপা চলাকালীনই সালসাবেলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় নোবেলের। সেইসময় বাড়ির অমতে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। প্রথম ছ ‘মাস সম্পর্ক ভালোভাবে চললেও কয়েক মাসের মধ্যেই স্বামীর মধ্যে নাকি বদল লক্ষ্য করেন সালসাবেল।
শুধু তাই নয় মাদক সেবন ছাড়াও স্ত্রীর গায়ে পর্যন্ত হাত তুলতো নোবেল। এ প্রসঙ্গে জানিয়ে সালসাবেল জানিয়েছেন ‘সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পর যখন আমার এবং নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা বলি এবং চিকিৎসা করার অনুরোধ করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয়, সে কখনও মাদক ছাড়বে না’।
তবে প্রথম থেকেই অভিযোগ এনে নোবেল জানিয়েছিলেন বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে নাকি তিনি নিজে ভীষণ অবসাদের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তবে প্রথম দিকে মুখ না খুললেও সম্প্রতি নিজের ফেসবুকেই নোবেলের স্ত্রী লিখেছিলেন ‘আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে নোবেলের সঙ্গে ডিভোর্সের কাজ সম্পন্ন করলাম ধন্যবাদ।’
সেইসাথে নোবেলের স্ত্রী জানিয়েছেন নোবেলের এই আজকের অবস্থার জন্য নোবেল কিন্তু শুধু একা দায়ী নয়। তাঁর জোগান ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশীল মানুষের অবদান রয়েছে। কারও নাম না নিয়েই সালসাবেল বলেছেন সেই ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরা হলেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, কিংবা ক্ষমতাশীল ব্যবসায়ী যাঁদের আগে ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল।
এইভাবে নোবেলের মাদকাসক্তির পিছনে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষের অবদানের কথা উল্লেখ করার পর থেকেই নাকি ক্রমাগত হুমকি ফোন পাচ্ছেন তিনি। তাঁকে নাকি ফোনে সরাসরি বলা হয়েছে ‘তুমি কাদের হয়ে কথা বলছ ধারণা আছে? কারও নাম নিলে তোমাকে দুই মিনিটের মধ্যে গুম করে দেব’।