সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে এখন যে কেউ রাতারাতি ‘সেনসেশন’ হয়ে যেতে পারেন। এমনই একজন ইন্টারনেট সেনসেশন হলেন বাংলাদেশের নামী অভিনেতা হিরো আলম (Hero Alom)। কখনও তাঁকে দেখা যায় অভিনয় করতে, কখনও আবার গান করতে। তবে যে ভূমিকাতেই হাজির হন না কেন, নেটিজেনদের বেশিরভাগ অংশের কটাক্ষ জোটে তাঁর কপালে।
সম্প্রতি এই হিরো আলমই বাংলাদেশের বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই মনোনয়ন পত্র বাতিল করে দেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, হিরো আলমের জমা দেওয়া তথ্যের মধ্যে নাকি প্রচুর গরমিল রয়েছে।
কয়েক বছর আগেও এই চর্চিত ব্যক্তিত্বের কাছে সম্পত্তি (Hero Alom net worth) বলতে তেমন কিছুই ছিল না। শুনতে অবাক লাগলেও, তাঁর ব্যাঙ্কে ছিল মাত্র ১০০০ টাকা। এছাড়া ছিল আড়াই লাখ টাকার আসবাবপত্র, ৮৭ হাজার টাকা দামের একটি পুরনো বাইক এবং স্ত্রীয়ের এক ভরি সোনা। এগুলি ছাড়া আর কিছুই ছিল না ওপার বাংলার এই নায়ক-গায়কের কাছে।
কিন্তু মাত্র ৪ বছরের মধ্যেই নিজের ভাগ্য বদলেছেন হিরো আলম। তৈরি করে ফেলেছেন কোটি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। আজ যদি হিরো আলমের সম্পত্তির পরিমাণ শোনার পর অবাক হয়ে যেতে পারেন যে কেউ।
একসময় যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাত্র ১০০০ টাকা ছিল, এখন তিনিই ৯ শতক জমি কিনে নিজের বাড়ি তৈরি করেছেন। বাংলাদেশের এই নামী তারকার এখনকার কৃষি জমির পরিমাণ প্রায় ৫০ শতক। বেড়েছে স্ত্রীয়ের গয়নার পরিমাণও। এক ভরি থেকে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১০ ভরিতে। আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।
বাংলাদেশের বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনে সম্পদ বিবরণী র হলফনামা দাখিল করতে হয়। সেখানে একথা উল্লেখ করেছেন হিরো আলম নিজে। বিখ্যাত এই নায়ক-গায়কের দাবি, সমস্ত সম্পত্তিই তিনি সৎ পথে থেকে আয় করেছেন। যদিও তা সত্ত্বেও তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়।