সিনেমার ইতিহাসে এমন কিছু ছবি রয়েছে যা বছরের পর বছর মানুষের মনে গেঁথে রয়ে গিয়েছে। এমনই একটি ছবি হল বাহুবলী (Bahubali)। ঐতিহাসিক কাহিনী নিয়ে তৈরী এই ছবিটি ভাষা ও দেশের গন্ডি পেরিয়ে গোটা পৃথিবীতে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বিগত ১৪ই ডিসেম্বর ছিল বাহুবলী সিনেমার ভাল্লালদেব চরিত্রের অভিনেতা রাণা দাগ্গুবতির (Rana Daggubati) জন্মদিন। এদিন ৩৭ এ পা দিলেন অভিনেতা।
মূলত দক্ষিণী ছবির অভিনেতা হলেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে সর্বত্র। দুর্দান্ত অভিনয়ের পাশাপাশি ফটোগ্রাফিতেও দারুন দক্ষ অভিনেতা। অভিনেতা তেলেগু পরিচালক দি সুরেশ বাবুর সুপুত্র। বাহুবলী ছবিতে ভাল্লালদেবের চরিত্রেও জন্য একেবারে পারফেক্ট বলেই মনে হয়েছে অভিনেতাকে। তবে চরিত্রটি পেতে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে তাকে। অভিনেতা নিজেই সেই কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন।
অভিনেতাকে দেখা বোঝা না গেলেও অভিনেতার একটি চোখে সমস্যা রয়েছে। রাণা নিজেই জানান, তিনি শুধুমাত্র একটি চোখে দিয়েই দেখতে পান, সেটা হল বাঁ চোখ। কেউ যদি তাঁর বাঁ চোখ বন্ধ করে দেয় তাহলে কিছুই দেখতে পাবেন না তিনি। একটি শোতে গিয়ে নিজের জীবনের এই সত্যি সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন অভিনেতা।
এমনই একটি শোতে অভিনেতা জানান বাহুবলী ছবির জন্য শুরুতেই একেবারে পারফেক্ট ছিলেন না তিনি। ভাল্লালদেবের চরিত্রে মানানসই হওয়ার জন্য ১০০ কেজি ওজন করতে হয়েছিল তাঁকে। ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ৪০ টা ডিম খেতেন আর জিমে কঠোর পরিশ্রম করতেন। এখানেই শেষ নয় প্রতি ২ ঘন্টা অন্তর অন্তর কিছু না কিছু খেতে হত তাকে। এভাবে কঠোর পরিশ্রম করে তবেই নিজেকে ভাল্লালদেব চরিত্রের জন্য তৈরী করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাণা বলিউডের অভিনেত্রী শ্রীদেবীর বড়সড় একজন ভক্ত। এছাড়া কমল হাসানেরও ভক্ত তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের ফোটোগ্রাফিকেও সময় দেন তিনি। ফটোগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনাও করেছেন তিনি অভিনয়ের জগতে আসার আগে। পড়াশোনা শেষ হলে পরিচালক বাবার সাথে পরিচালনার কাজেও সাহায্য করেছিলেন একসময়। এরপর ২০১০ সালে ‘লিডার’ নামের একটি ছবিতে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে নিজের অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু করেন।