দেশ, কাল, সময়ের গন্ডী পেরিয়ে একমাত্র সুরের মূর্ছনাই পারে মানুষের মনকে ছুঁয়ে যেতে। আমাদের দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন এমনই অসংখ্য সঙ্গীত প্রতিভা। সারা দেশের মানুষের কাছে নিজেদের সেই অসাধারণ প্রতিভা তুলে ধরতে সারাবছর শুধুমাত্র একটা সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন তারা।
গানের জগতের এই নতুন প্রতিভাদের সুযোগ দিতে এখন বছরভর আয়োজন করা হয় একাধিক গানের রিয়ালিটি শো। সুযোগ দেওয়া দেশের শিশুশিল্পীদেরও। বাচ্চাদের গানের প্রতিভা তুলে ধরতে ইদানিং সোনি টিভির তরফে আয়োজন করা হয়েছে এমনই একটি রিয়ালিটি শো ‘সুপারষ্টার সিঙ্গার ২’ (Superstar Singer 2)। প্রায় দু’ বছর পর আবার শুরু হয়েছে এই রিয়ালিটি শো।
জাতীয় স্তরের এই রিয়ালিটি শোতে মঞ্চ মাতাচ্ছেন দোতারা হাতে বাংলার খুদে গায়ক প্রাঞ্জল (Pranjal)। ছোট থেকেই গানের প্রতি অগাধ ভালোবাসা আর দুর্দান্ত গানের গলা নিয়ে বড় হয়ে উঠছে পচিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বাসিন্দা এই শিশু। এখন থেকেই জীবনবোধের নানান সারকথা উপলব্ধি করে ফেলেছে সে। সুপারষ্টার সিঙ্গারের মঞ্চে উপস্থিত বিচারকরা অর্থাৎ অলকা ইয়াগনিক, হিমেশ রেশামিয়া আর জাভেদ আলি তো আগেই এই বিস্ময় বালকের ফ্যান ছিলেন।
এবার স্বয়ং বাবা রামদেবকেও নিজের গান শুনিয়ে মুগ্ধ করে তুললেন বাংলার এই খুদে শিল্পী। প্রসঙ্গত সম্প্রতি এই রিয়ালিটি শোয়ে দেবানন্দ স্পেশ্যাল এপিসোডে বিশেষ অতিথি হিসাবে দেখা গিয়েছিল বাবা রামদেব এবং অভিনেত্রী জিনাত আমানকে। সেখানেই এদিন বিখ্যাত হিন্দি সিনেমা প্রেম পুজারির ‘ফুলো কি রং সে’ গান গেয়ে গেয়ে সকলের মন ভরিয়ে তোলেন গুরু পবনদীপ রাজনের যোগ্য শিষ্য প্রাঞ্জল।
View this post on Instagram
এদিন খুদে প্রাঞ্জলের গান শুনে বাবা রামদেব এতটাই মুগ্ধ হয়ে যান যে তিনি বলেই দেন ‘পৃথিবীতে গীত আর সংগীতের কোনও নতুন অবতার চলে এসেছেন মনে হচ্ছে’। এরপরেই দেখা যায় সোজা মঞ্চে উঠে গিয়ে প্রাঞ্জলকে বিশেষ উপহার হিসাবে গেরুয়া উত্তরীয় এবং কাঠের খড়ম উপহার দিচ্ছেন যোগগুরু। শুধু তাই নয় খুদে শিল্পীর গানে মুগ্ধ হয়ে পুষ্প বৃষ্টিও করতে দেখা যাই বাবা রামদেবকে।