বলিউডের নেপোটিজমের (Nepotism) জেরে একটা তরতাজা প্রাণ চলে গিয়েছিল। সকলেরই মনে আছে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) করুণ পরিণতির কথা। তাঁর মৃত্যুর পর অনেকেরই টনক নড়েছিল। একের পর এক অভিনেতা অভিনেত্রীরা সেই সময় একে একে মুখ খুলেছিলেন৷ টিনসেল টাউনে একথা সকলেই জানে গড ফাদার না থাকলে বলিউডে সুবিধা করা যায়না৷ স্টারকিড ছাড়া যারা বলিউডে আসেন তাদের প্রচুর স্ট্র্যাগল করতে হয়।
বলিউড (Bollywood) অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা (Ayushmann khurrana) বরাবরই খানিক উল্টো স্রোতে ভাসতে পছন্দ করেন। একেঘেয়ে, গতে বাঁধা চরিত্র এক্কেবারে না পসন্দ অভিনেতার। তিনি যতবারই পর্দায় আসেন ততবারই তাকে দেখা যায় নতুন অবতারে। মাত্র আট বছরের কেরিয়ারেই নিজের অভিনয়ের জন্য অসংখ্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন আয়ুষ্মান। কমার্শিয়াল হিন্দি ছবিতেও তিনি বারংবার এনে দিয়েছেন নতুনত্বের স্বাদ। তবে আজ তিনি সফল হলেও একসময় ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টারদের সাথে অসংখ্য লড়াই করতে হয়েছিল তাকে।
সুশান্তের মৃত্যুর পর প্রথমেই নাম উঠেছিল করণ জোহারের। নেপোটিজম বিতর্কে তার প্রতি ছিল একাধিক অভিযোগ। কখনও তার দুর্ব্যবহার, কখনও নোংরা মন্তব্য বারংবার বুঝিয়ে দিয়েছে স্টারকিড ছাড়া কাউকেই পাত্তা দেননা তিনি। তবে একবার তার এই মুখোশ টেনে খুলে দিয়েছিলেন আয়ুষ্মান।
আসলে প্রথম দিকে সকলেই তাকে বহিরাগত বলে দূরে সরাত, কেননা কোনোওরকম ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া নিজের প্রতিভার জোরেই বলিউডে পা রেখেছিলেন তিনি। এরপর অপূর্ব অভিনয় দক্ষতায় বলিউডে নিজের জায়গাও করেছেন অভিনেতা, এরপরই তিনি হাটে হাঁড়ি ভাঙেন৷
জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর করণের শো ‘কফি উইথ করণ’ এ ডাক পেয়েছিলেন আয়ুষ্মান। যখন অভিনেতা রেডিও জকি ছিলেন তখন তার সাথে প্রথমবার দেখা হয় করণ জোহারের। বিখ্যাত পরিচালকের নম্বর চেয়েছিলেন অভনেতা। করণ তাকে ব্যক্তিগত নম্বরের বদলে দিয়েছিলেন অফিসের নম্বর৷ এরপর যতবার আয়ুষ্মান ফোন করেন, ততবার করণের কেয়ারটেকার তাকে ফিরিয়ে দেন। এর পরের দিন যখন আয়ুষ্মান ফোন করেন, তখন করন স্পষ্ট ভাষায় তার মুখের ওপর বলে দেন, “আমরা শুধু তারকাদের সাথে কাজ করি, আপনার সাথে কাজ করতে পারবো না।” এরপর নিজেকে কারোর সাহায্য ছাড়াই প্রতিষ্ঠিত করেন আয়ুষ্মান।