বর্তমানে স্টার জলসার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল হল আয় তবে সহচরী (Aye To be Sohochori)। এক নতুন মোড়কে মধ্যবয়সী গৃহবধূ সহচরীর (Sohochori) স্বপ্ন পূরণের গল্প নিয়ে শুরু হয় এই সিরিয়াল। জীবনের মাঝ বয়সে এসেও সহচরীর মতো গৃহবধূদের উচ্চশিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন দেখায় সিরিয়াল।এই বিষয়টাই আর পাঁচটা সিরিয়ালের সাংসারিক কূটকচালি থেকে একেবারে আলাদা করে তুলেছে এই সিরিয়ালকে।
আর সেই কারণেই খুব অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকদের মন ছুঁয়েছে এই সিরিয়াল।সিরিয়ালের প্লট অনুযায়ী ধিঙ্গী (Dhingi) আর তার সই একই কলেজে একই ক্লাসের ছাত্রী। বয়সের ব্যাবধান ঘুচিয়ে একে অপরের প্রিয় বন্ধু তারা। ইতিমধ্যে সইয়ের ছেলে স্যান্ডো কুমারের সাথে বিয়ে হয়েছে ধিঙ্গির। তারপর থেকে ধিঙ্গি আর সইয়ের হাত ধরে শ্বাশুড়ী বৌমার চিরাচরিত সাংসারিক কূটকচালি নয়, একেবারে ভিন্ন স্বাদের সম্পর্কের রসায়ন দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে।
তবে এই সিরিয়ালে সাংসারিক কূটকচালি একেবারে নেই বললেও বলা ভূল হবে। তবে প্রথম থেকেই এই ধারাবাহিকে সবচেয়ে বেশি বড়ো করে দেখানো হয় অসম বয়সী ‘বন্ধুত্ব’কে। তবে সব সিরিয়ালেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন সিরিয়ালের ভিলেন চরিত্রের অভিনেতা,অভিনেত্রীরা। তেমনই এই সহচরী সিরিয়ালে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন দেবীনা (Debina) অভিনেত্রী কুয়াশা বিশ্বাস (Kuyasha Biswas)।
এই সিরিয়ালের যারা নিয়মিত দর্শক তারা সকলেই জানেন দিনের পর দিন সহচরীর সেনগুপ্ত বাড়িতে জাঁকিয়ে বসছে দেবীনা। সহচরীর বর সমরেশকে তো রীতিমতো নিজের হাতের ইশারায় নাচাচ্ছে সে। মিথ্যে কথার ঝুড়ি দেবিনা ইতিমধ্যেই সমরেশকে ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বলেছে “হ্যাঁ মিথ্যে বলেছি, তোমায় এমন হাজারো মিথ্যে বলেছি”।
দেবিনার এমনই সব গা জ্বালানো সংলাপ আর তুখোড় অভিনয় দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিরিয়ালের একাধিক পেজে তার প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন দর্শকরা। এমনই হাজারো কটুক্তি, সমালোচনাই বোধহয় একজন অভিনেতার কাছে হাজারো অ্যাওয়ার্ডের উর্ধ্বে। যদিও এ সবের প্রতি একটুও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়না দেবিনা অভিনেত্রী কুয়াশাকে। আসলে এটাই তাঁর প্রাপ্তি।