টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি (Swastika mukherjee) আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব, স্টাইল, কথাবার্তা সবই আর সকলের থেকে আলাদা। অভিনয় জগতের মতোই অভিনেত্রীর বাস্তব জীবনেও রয়েছে নানা ওঠাপড়া। সমাজের চোখরাঙানি কে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র নিজের আত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করেই আজ একজন সফল মা তিনি। আর জীবনের ৪১ টা বসন্ত পেরিয়ে আজও ইন্ডাস্ট্রির পরম সুন্দরী অভিনেত্রী তিনি। তাই বয়স ৪১ হলেও অভিনেত্রীর রূপের জৌলুস দেখে তা বোঝার উপায় নেই। স্বস্তিকা মুখার্জী মানেই আত্মবিশ্বাস আর আভিজাত্যের দারুন মিশেল,এককথায় ‘বিউটি উইথ ব্রেন’।
এক মাত্র মেয়েকে নিয়ে তার ছোট্ট সংসার, বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়কে বেশ কয়েক বছর হল হারিয়েছেন অভিনেত্রী। জন্মসূত্রে স্বস্তিকা বাঙালি হলেও ছোট থেকে একাধিক ইংরেজি মাধ্যমের বেসরকারি স্কুলে পড়েছেন। পরবর্তীতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন।স্বস্তিকার অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয় বাংলা ধারাবাহিক ‘দেবদাসী’ দিয়ে পরবর্তীতে ২০০২ সালে ‘হেমন্তের পাখি’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় নামেন তিনি।আর বর্তমানে নিজের অভিনয় দক্ষতার জেরে বাংলার গন্ডি ছাড়িয়ে একাধিক হিন্দি সিনেমা আর ওয়েব সিরিজে কাজ করে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী।
জানা যায় ১৯৯৮ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী প্রয়াত সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনের (Promit Sen) সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন স্বস্তিকা। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি বিয়ের দু’বছরের মাথায় স্বামীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন অভিনেত্রী। প্রমিত তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগও করেছিলেন স্বস্তিকা। যদিও আজ পর্যন্ত স্বস্তিকাকে ডিভোর্স দেননি তার স্বামী। সেই থেকেই একমাত্র মেয়ে অন্বেষা (Anwsesha) কে একাহাতেই বড় করেছেন স্বস্তিকা।
স্বভাবে বেশ ঠোঁট কাটা অভিনেত্রী৷ তাই কোনোও বিষয়েই তিনি রাখ ঢাক রেখে চলেননা। একবার স্টার জলসার টক শো, অপুর সংসারে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বস্তিকা৷ সেখানেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিয়ে নিয়ে আর ভাবছেন কিনা তিনি। স্বস্তিকার সাফ উত্তর ছিল, না, বিয়ে নিয়ে তিনি এই মুহুর্তে আর ভাবিত নয়৷ কাউকে পছন্দ হলে তার সাথে থাকা যেতে পারে, কিন্তু সামাজিক বা আইনি বিয়ের দিকে তিনি আর যাবেন না।
পাশাপাশি, স্বস্তিকা জানান তার সিঙ্গেল মাদার হওয়ার লড়াইয়ের গল্প। তিনি জানান, তার এই ঘাঁটা বিয়ের কারণে সাফার করেছে তার ছোট্ট মেয়ে। কলকাতার নামি দামি স্কুলে পিতৃ পরিচয় ছাড়া মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করতে পারেননি স্বস্তিকা। সেই সব স্কুলে অভিভাবক মানে মা বাবা দু’জনকেই বোঝায়৷ এদিকে স্বস্তিকার তখন বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে সমস্যা চলছে।