জি বাংলার অন্যতম হিট সিরিয়াল হল ‘মিঠাই’ (Mithai)। সাম্প্রতিক অতীতে হয়তো টিআরপি কিছুটা কমে গিয়েছে, কিন্তু তাই বলে সিরিয়ালের জনপ্রিয়তায় কিন্তু একটুও আঁচ পড়েনি। কারণ টেলিভিশনের পর্দায় না হলেও, অনলাইনে ঠিক দর্শকরা প্রিয় মিঠাই এবং সিদ্ধার্থের গল্প দেখে নিচ্ছে।
গতকাল রাত থেকে যেমন সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই মিঠাইরানীর পারফরম্যান্সের জয়জয়কার চোখে পড়ছে। আসলে ঠিকভাবে বললে গতকাল নয়, পরশুদিন থেকেই শুরু হয়েছিল মিঠাইয়ের অভিনয়ের প্রশংসা। যারা গতকালের পর্ব আগেই অনলাইনে দেখেছিলেন তাঁরা বাকি দর্শকদের কালকের পর্বটি দেখার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আর সত্যিই কালকের পর্ব দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন দর্শকরা।
গতকাল ‘মিঠাই’য়ে দেখানো হয়েছে, ছোট্ট হালুমকে (Halum) নিতে এসেছে তাঁর বাবা-মা। আর তাতেই বেশ ভেঙে পড়ে সকলের প্রিয় মিঠাইরানী। যারা ধারাবাহিকটি নিয়মিত দেখেন তাঁরা জানেন হালুমের সঙ্গে মিঠাই বেশ জড়িয়ে পড়েছিল। ছোট্ট বাচ্চাটির সঙ্গেই মেতে থাকত সে। তাই হালুমকে বিদায় জানানোর সময় আনন্দ, দুঃখ, কষ্ট সব কিছু একসঙ্গে ভিড় করে আসে মিঠাইয়ের মনে।
আর এই সব অনুভূতি মিলিয়ে সৌমিতৃষা কুণ্ডু অর্থাৎ পর্দার মিঠাইরানী যে অভিনয় করেছেন তা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন দর্শকরা। দর্শকদের একাংশের কথায়, সৌমিতৃষা যে এতটা সুন্দর অভিনয় করবেন তা তাঁরা ভাবতে পারেননি।
অবশ্য শুধুমাত্র মিঠাই নন, আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন দর্শকদের একাংশও। কারণ তাঁরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না হালুমকে তাঁর বাবা-মা খুঁজে পেয়েছে বলে খুশি হবেন নাকি ছোট্ট বাচ্চাটিকে আর দেখতে পাবেন না বলে কষ্ট পাবেন। দর্শকদের একাংশ আবার এও বলছেন যে জি বাংলা যদি হালুমকে নিয়ে একটা প্রোমো দিতো, তাহলে হয়তো ‘মিঠাই’ আবার রমরমিয়ে চলত।
জানিয়ে রাখি, ‘মিঠাই’য়ের টিআরপি কমে যাওয়া নিয়ে দর্শকদের একাংশ জি বাংলাকেই দুষছেন। তাঁদের মতে, চ্যানেলের তরফ থেকে নিয়মিতভাবে এই ধারাবাহিকের প্রোমো দেওয়া হয় না বলেই তার প্রভাব টিআরপির ওপর পড়ছে। হালুম-মিঠাইকে নিয়ে যদি একটা প্রোমোও চ্যানেল দেখাতো, তাহলে টিআরপিতে কিছুটা হলেও ভালো প্রভাব পড়ত বলে মত তাঁদের।