বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) জগতে অল্পদিনেই বেশ পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। বাস্তবতার মোড়কে মোড়া এই সিরিয়ালটিতে শুরু থেকেই দর্শকদের নজর কেড়েছে মিত্র বাড়ির মেয়ে-বৌদের একেবারে আনকোরা সম্পর্কের সমীকরণ।
সিরিয়ালের ট্যাগ লাইন অনুযায়ী এক ছাদের নীচে থাকতে থাকতে কিভাবে মেয়েরাই মেয়েদের বন্ধু হয়ে ওঠে সেই গল্পই দেখা যাবে এই সিরিয়ালে। সিরিয়ালটির নিয়মিত দর্শক যারা তারা নিজেরাই এর প্রমাণ পেয়েছেন ধারাবাহিকের খুব সাম্প্রতিক এপিসোড গুলিতে।
বিশেষ করে মৌ যেভাবে পরিনাম না ভেবেই ননদ টিকলিকে তার কালো অতীত থেকে টেনে বার করে আনার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তা যেমন আছে তেমনই আগের দিন প্রকাশ্যে মৌয়ের সাথে সুবোধ অসভ্যতামো করতে শুরু করায় তাতে চারপাশ না দেখেই বীথি এসে যেভাবে তাকে ঠাঁটিয়ে চড় মেরেছিল তা থেকেই কিন্তু একথা স্পষ্ট এক সংসারে থাকতে থাকতে একটা মেয়ে আর একটা মেয়ের বন্ধু হয়ে ওঠে এভাবেই।
টিআরপি তালিকায় ধীরে ধীরে জায়গা করে নিলেও দর্শকমহলে মেয়েবেলার জনপ্রিয়তা কিন্তু টি আর পি স্কোরের বিচারে মাপা সম্ভব নয়। তাই সবাই যখন স্রোতে গা ভাসিয়ে পরকীয়া কিংবা সাংসারিক কূটকচালি মতো একঘেয়ে বিষয় দেখাতেই ব্যস্ত তখন একেবারে ছক ভেঙে মেয়েবেলা ইদানিং বেছে নিয়েছে ‘শিশু নির্যাতন’-এর মতো অত্যন্ত সংবেদনশীল ট্র্যাক।
এমনিতেই এই সিরিয়ালের বিষয়বস্তু, দুর্দান্ত কাস্টিং আর সেইসাথে প্রত্যেকের নিঁখুত অভিনয় আগেই মন জয় করে নিয়েছিল দর্শকদের। আর ইদানিং ধারাবাহিকের শিশু নির্যাতনের ট্র্যাক দারুন সাড়া ফেলে দিয়েছে দর্শকমহলে।
সাধারণত ছোটবেলায় যারা এই ধরনের জঘন্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তাদের মনের মধ্যে চিরকাল একটা অদ্ভুত ট্রমা কাজ করে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো এই ধরনের অপরাধীরা পিশেমশাইয়ের মতোই খুব চেনা পরিচিত হয়। আর তাই মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে সম্মানহানির কথা ভেবে হামেশাই এই ধরনের অপরাধ খুব হালকাভাবে নেওয়া তো হয়ই এমনকি কেউ ইটা নিয়ে কথা বলতে চাননা।
তাদের উদ্দেশ্যেই সম্প্রতি এক ফেসবুক ভিডিওতে মেয়েবেলার ডোডো অভিনেতা অর্পণ ঘোষাল বলেছেন ‘এমন ঘটনা হয়ত আমাদের আশেপাশে ঘটছে। আমরা অনেক সময় চেপে যাচ্ছি, বলছিনা। কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনা শোনার পর আমার মনে হচ্ছে ‘না’। আমাদের বলা উচিত আমাদের আরো সোচ্চার হওয়া উচিত।’ যা শুনে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক।