চলতি বছরের শুরুতেই স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় শুরু হয়েছে জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘বালিঝড়’ (Balijhor)। লীনা গাঙ্গুলির লেখা তারকাখচিত এই বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) মূল আকর্ষণ ‘খড়কুটো’ সিরিয়ালের গুনগুন-সৌজন্য জুটি অর্থাৎ অভিনেত্রী তৃণা সাহা এবং কৌশিক রায়। নতুন সিরিয়ালে তাদের নাম হয়েছে ঝোড়া আর মহার্ঘ্য (Jhora-Moharghya)। এছাড়াও রয়েছেন ‘ধূলোকণা’ সিরিয়ালের লালন অভিনেতা ইন্দ্রাশীষ রায়। ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্রের নাম হয়েছে স্রোত (Srot)।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ওপর ত্রিকোণ প্রেমের মোড়কে তৈরী এই সিরিয়ালে চেনা চরিত্রদেরই তুলে ধরা হয়েছহ নতুন রূপে। আর এইভাবে এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই অনুরাগীরা আরও একবার ফিরে পেয়েছেন তাঁদের সৌগুন জুটিকে। নিয়মিত দর্শকরা জানেন ধারাবাহিকের প্লট অনুযায়ী দাপুটে নেতা সমুদ্র সেনের মেয়ে অর্থাৎ নায়িকা ঝোড়া ভালোবাসে তাঁর বন্ধু স্রোতকে।
কিন্তু বাবার চাপে আর স্রোতকে বাঁচাতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই মহার্ঘ্যর সাথেই বিয়ে করে নিয়েছে ঝোড়া। তেমনই বালিঝড়ে ঝোড়ার বিয়ে নিয়ে ছিল ব্যাপক উন্মাদনা। এমনিতে সব সিরিয়ালে বিশেষ করে লীনা গাঙ্গুলির সিরিয়ালে বিয়ে মানেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্র্যাক। যার ওপর নির্ভর করে বিরাট অদল বদল আসে টিআরপি তালিকাতেও।
কিন্তু দেখতে এক মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত সেভাবে টি আর পি তে ছাপ ফেলতে পারেনি এই সিরিয়াল। তাই এবার টিআরপি টানতে নতুন পন্থা অবলম্বন করেছেন এই সিরিয়ালের নির্মাতারা। ঝোড়ার সাথে মহার্ঘ্যর বিয়ের পর ইতিমধ্যেই তাঁদের নাম ফ্যানক্লাব তৈরী করে ফেলেছেন অনুরাগীরা। জুটির মিলিয়ে নাম দিয়েছেন ‘ঝোড়ার্ঘ্য’।
View this post on Instagram
দর্শকরা এমনিতেই দাবি জানাচ্ছেন তারা চান না ঝোড়া আর মহার্ঘ্যর মাঝে স্রোত আসুক। তাই দর্শকরা যে পুরোনো সৌগুন জুটিকেই ঝোড়া আর মহার্ঘ্যর মধ্যে খুঁজে নিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। তাই দর্শকদের একাংশের দাবি টিআরপি বাড়াতে পুরনো জুটির সেই ম্যাজিককেই কাজে লাগাচ্ছেন এই সিরিয়ালের নির্মাতারা। তাই দর্শকদের একাংশ বালিঝড়ের বিরুদ্ধে খড়কুটোর দৃশ্য চুরির অভিযোগ তুলে বলেছেন ‘এরা ইচ্ছাকৃত করছে এগুলো’।
যদিও তাদের পাল্টা এক হাত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক সৌগুন ভক্ত লিখেছেন ‘এ সব অতি আশ্চর্য লাগছে আমার। প্রথম কথা, দুটো সিন এক, তাতে কি? গল্প, আঙ্গিক, পরিস্থিতি, চরিত্র -সবই তো আলাদা। আর এই বৈপরিত্য বোঝাতেই সিনগুলো রিপিট করা হচ্ছে বলে মনে হয় আমার। আসলে খড়কুটো সিরিয়াল ছাড়িয়ে নস্টালজিয়ায় পরিণত হয়েছে আমাদের কাছে। আর লেখিকা খুব স্মার্টলি এই নস্টালজিয়াটা জিইয়ে রাখছেন’।