মঙ্গলবার রাতেই ভারতের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী (Bappi Lahiri) প্রয়াত হয়েছে। মাত্র ৬৯ বছর বয়সেই মুম্বাইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ‘ডিস্কো কিং’। হাসপাতাল সূত্রে খবর অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (OSA) এবং বুকে সংক্রমণে ভুগছিলেন এই বর্ষীয়ান এই শিল্পী। তাঁর প্রয়াণের খবর গতকাল সকালে প্রকাশ্যে এলেও মৃত্যু হয়েছিল মঙ্গলবার রাত ১১.৪৫ মিনিট নাগাদ।
জানা গেছে গত মাস থেকেই একটানা ২৯দিন মুম্বইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দেশের এই গোল্ডেন গায়ক। দীর্ঘ চিকিৎসার পর ১৫ই ফ্রেব্রুয়ারি সোমবার বাড়ি ফিরেছিলেন বাপ্পিদা। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে পুনরায় তাঁর অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটলে, আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু এবার আর ফেরানো গেল না বাপ্পিদাকে।
চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে এদিন রাতেই চিরঘুমের দেশে চলে গিয়েছেন এই বঙ্গ সন্তান। উল্লেখ্য গতকাল বাপ্পি লাহিড়ির পরিবারের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, ‘আমাদের কাছে এটা চরম শোকের একটা মুহূর্ত। আমাদের প্রিয় বাপ্পিদা আমাদের ছেড়ে পরোলোকে পাড়ি দিয়েছেন…. ওঁনার আত্মার জন্য দয়া করে শান্তি কামনা করুন’।প্রিয় শিল্পীর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা সঙ্গীত জগতে।
প্রিয় বাপ্পি দার অকাল প্রয়াণে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন সকলে। কিংবদন্তি শিল্পীর প্রয়াণের পর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন অপর এক বর্ষীয়ান সঙ্গীত শিল্পী আশা ভোঁসলে। কিছুদিন আগেই দিদি তথা সুর সাম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আশাজি জানিয়েছেন ‘ডিস্কো কিং’-এর এই অকস্মাৎ মৃত্যুর খবর প্রথমে তাঁর বিশ্বাসই হয়নি।
সেইসাথে তিনি জানান বাপ্পি লাহিড়ির অসুস্থতার সময় ভীষণভাবে চেয়েও তাঁকে দেখতে যেতে পারেননি। উল্টে শুনতে হয়েছিল বাপ্পির কিছু হলে তাঁর জন্য দায়ী হবেন আশা। সম্প্রতি গায়িকা জানান, তাঁকে তাঁর গাড়ির চালকই পরামর্শ দিয়েছিলেন এখনও করোনা আবহ পুরোপুরি কাটেনি। এর মধ্যে বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে যদি ওঁর কিছু হয়ে যায় তাহলে আশাজিকেই সবাই দোষী বলবে। তাই আর যাননি তিনি।