সদ্য সমাপ্ত হয়েছে সঙ্গীতের এক লম্বা সফর অর্থাৎ ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১২। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সপ্তাহের শেষে এই অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে একসময় তা দর্শকদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। আজ অরুণিতা কাঞ্জিলালকে (Arunita Kanjilal) চেনেনা এমন বাঙালি বোধ হয় নেই। তবু ছোট্ট করে একবার পরিচয়টা দিয়েই দিই। দীর্ঘ ৮ মাসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন অরুণিতা, এবং বিজেতা হয়েছেন উত্তরাখণ্ডের ছেলে পবনদীপ রাজন (Pawandeep Rajan)।
অরুণিতার মিষ্টি কণ্ঠে পাহাড়ি ঝর্ণার মতো সুরের যে মূর্ছনা তাতে মুগ্ধ হয়েছেন গোটা বাংলা তথা দেশের শ্রোতারা। অবশ্য এই প্রথম নয় এর আগেও রিয়্যালিটি শো এর মঞ্চে দর্শকদের মন জয় করেছেন অরুণিতা। বনগাঁর মেয়ে অরুণিতা আসলে অতিসাধারণ পরিবারেই মেয়ে। তার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। মায়ের শখ ছিল অরুণিতাকে গায়িকা করে তোলার। অরুণিতাও সেই স্বপ্নই দেখে এসেছে ছোট থেকে।
সেই স্বপ্ন পূরণ হল ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে। সারা বাংলার গর্ব এখন সে। সারা দেশের তাবড় তাবড় প্রতিভাদের পিছনে ফেলে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বাংলার মেয়ে অরুণিতা। এখন সে বাংলার নয়া তারকা। ইতিমধ্যেই, অনেকেই মনে করছেন পবনদীপ নয় আসলে বিজেতা হওয়ার হক রাখেন অরুণিতাই। তবুও আপামর দর্শক এবং বিচারকদের রায় মাথা পেতে নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেই খুশি গায়িকা।
এই মঞ্চে যাওয়ার আগে অন্যান্য মেয়েদের মতো গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইউটিউবেই নিজের গানের ভিডিও শেয়ার করতেব অরুণিতা। হঠাতই ভাইরাল হয়েছে আজ থেকে এক বছর আগে বানানো তার একটি রবীন্দ্র সঙ্গীতের ভিডিও। এতদিন পর্যন্ত ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে বাংলার মেয়ের কন্ঠে আমরা হিন্দী গানই শুনেছি।
কিন্তু এবার প্রাণের ঠাকুর রবীন্দ্রনাথের ‘ও যে মানে না মানা’ গানটি অরুণিতার কন্ঠে শুনে মুগ্ধ শ্রোতারা। তার অপূর্ব কন্ঠে এই গান ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তরতরিয়ে বাড়ছে অরুণিতার ফলোয়ার্স। তার সুরেলা কন্ঠের যাদুতে মন মজেছে ৮ থেকে ৮০ এর। এখন বেজায় ব্যস্ত তিনি। অবশেষে দীর্ঘ ১০ মাস পর মুম্বই থেকে বনগাঁর বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। তাকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছে গোটা পাড়া। এত বড় সাফল্যের পরেও মাটি থেকে পা সরেনি অরুণিতার।