জি বাংলার ‘রান্নাঘর’ (Rannaghor) শোয়ের সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee) বহুবার বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন। তাঁর অহংকারের কথাও দর্শকদের অজানা নয়। সম্প্রতি যেমন ফের একটি বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। একটি খাবার ডেলিভারি বয়ের ফোল কল নিয়ে করা সুদীপার একটি পোস্ট ঘিরে চরম বিতর্ক হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সেটি মুছে দেন তিনি।
কিন্তু ততক্ষণে আর কী হবে, যা হওয়ার তা তো হয়েই গিয়েছে। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ‘রান্নাঘর’ সঞ্চালিকাকে ‘অহংকারী’ তকমা দিয়েছেন জনপ্রিয় শিশু শিল্পী অরিত্র দত্ত বণিক (Aritra Dutta Banik)। ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’ থেকে শুরু করে ‘হাঁদা ভোঁদা’ হয়ে ‘ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়র’- বহু সুপারহিট সিনেমা, সিরিয়ালে অভিনয় করা এই শিশুশিল্পীর সঙ্গে এবার প্রকাশ্যে বিতর্কেই জড়িয়েছেন সুদীপা।
সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমে অরিত্র সম্পর্কে সুদীপা বলেন, ‘অরিত্র জীবনে কী করেছে যে আমায় ওঁর কথা শুনতে হবে?’ তাঁর সংযোজন, ‘আমি যতটা জানি অরিত্র যখন ছোট ছিল তখন ট্র্যাফিক পুলিশ ওঁর গাড়ি আঁটকালে ওঁর বাবা-মা বলতেন ভেতরে অরিত্র রয়েছে। তা ছাড়া কে ও? ও কী করেছে জীবনে যে আমায় ওঁর কথা শুনতে হবে? বড়দের সম্মানটুকুও করতে পারে না। আমরা কখনও আমাদের আগের প্রজন্মের কারোর সঙ্গে এভাবে কথা বলার সাহস করতাম না’।
এখানেই থামেননি সুদীপা। এরপর তিনি বলেন, ‘আসলে এখন তো ও কিছু করে না। আমার মনে হয় সেইজন্যই আমারর নাম নিয়ে যদি নিজের পেজের সক্রিয়তা একটু বাড়াতে পারে তাই এসব কথা লিখেছে ও’। সুদীপার এই বক্তব্যে বেশ চটে গিয়েছেন দর্শকদের একাংশ। পাশাপাশি বাবা-মা তুলে কথা বলায় অরিত্রও বেশ চটেই গিয়েছেন।
অরিত্র লাইভে এসে বলেন, সুদীপা যদি তাঁর বিরুদ্ধে এমন কোনও প্রমাণ আনতে পারেন যেখানে তিনি অভিনেতা হওয়ার সুযোগ নিয়েছেন বলে জানা যায়, তাহলে তা যেন তাঁকে দেখানো হয়। এছাড়াও অভিনেতা বলেন, তাঁর বাবা, ঠাকুরদা প্রত্যেকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।
অরিত্র বলেন, তাঁর মায়ের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে এবং তিনি নিজেও উচ্চশিক্ষিত। তাঁদের কাছে টাকা হয়তো কম থাকতে পারে, কিন্তু তাঁর বাবা-মা সমাজের প্রত্যেক মানুষকে সম্মান করতে শিখিয়েছে। অরিত্র বলেন, সুইগি ডেলিভারি বয় থেকে দারোয়ান হয়ে ঝাড়ুদার, প্রত্যেকে সম্মানের যোগ্য। তাই সুদীপাকে সমাজের প্রত্যেক মানুষকে সম্মান করার পরামর্শ দিয়েছেন এই অভিনেতা।