বাংলার শিশু শিল্পী অরিত্র দত্ত বণিক (Aritra Dutta Banik) মানেই ইন্ডাস্ট্রির পাকা ছেলে। এতদিন এই নামেই পরিচিত ছিলেন তিনি। একেবারে ছোটো থেকেই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হওয়ার পর থেকেই দর্শকদের কাছে তাঁর এমনই এক ধরনের ইমেজ তৈরি হয়েছিল। একটা সময় ছিল যখন তিনি অভিনেতা হওয়ার কথা ভাবতেনও না। তবে তাঁকে এই সুযোগটা করে দিয়েছিলেন প্রয়াত পরিচালক যীশু দাশগুপ্ত (Jishu Dasgupta)।
আজ তাঁর জন্মদিন। আর প্রিয় যীশু জ্যেঠুর জন্মদিনে তাঁর স্মৃতি চারণা করতে গিয়ে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন অরিত্র। তাঁর জীবনে প্রয়াত পরিচালকের অবদান একেবারে শুরুর দিন থেকে। সেকথা স্মরণ করতে গিয়েই এদিন আবেগঘন বার্তা দিয়ে অরিত্র বলেন ‘যিশু জ্যেঠু না থাকলে আজ হয়তো আমি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতাম, অথবা অন্য কিছু করতাম। ‘
অরিত্র জানান মাত্র তাঁর যখন বয়স মাত্র পাঁচ বছর তখনই তাঁকে অভিনয়ের প্রথম সুযোগ করে দিয়েছিলেন পরিচালক যিশু দাশগুপ্ত। সেকথা স্মরণ করে আজ সংবাদমাধ্যমে অরিত্র বলেন, ‘যিশু দাশগুপ্ত ‘তিথির অতিথি’ ধারাবাহিকে আমাকে প্রথম সুযোগ দিয়েছিলেন। তখন আমার পাঁচ বছর বয়স। ওটাই আমার প্রথম অভিনয়।’ জানা যায় একবার এক অনুষ্ঠানে অরিত্রর আবৃত্তি শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন পরিচালক। তখন থেকেই তাঁর নজরে পড়ে যান অরিত্র।
ক্যামেরার সামনে প্রথম অভিনয় করার অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে অরিত্র জানান, ‘আমি তো ঘরোয়া জামাকাপড় পরেই চলে গিয়েছিলাম। মাকে স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয়েছিল। সেটা মুখস্থ করে পড়লাম। খেলার ছলে ব্যাপারটা হয়েছিল। আমাকে বলা হয়েছিল টেস্ট শট। কিন্তু সেটাই আসলে প্রথম শট। ছেলেমানুষ বলে ফ্লেক্সিবেল করার জন্য টেস্ট শট বলা হয়েছিল। তারপর উনি আমাকে অনেক জায়গায় রেফার করেছিলেন।’
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় যিশু দাশগুপ্তের সঙ্গে পুরনো একটি ছবি শেয়ার করে অরিত্র লিখেছেন, ‘পাড়া গাঁয়ের এক দস্যি বাচ্চা আবৃতি শিল্পীকে ধরে এনে একটি হিট টিভি সিরিয়ালে মুখ্যচরিত্রে অভিনেতা হিসেবে নিয়েছিলেন, ইস্কুলের বাকি বন্ধুদের থেকে জনপ্রিয়তা বা জীবনের দৌড়ে আমি আগে থেকে গতি পেয়েছিলাম যে লোকটির জন্যে তার আজ জন্মদিন। আমার পাঁচ বছর বয়েস থেকে আজ একটি মাল্টিস্টেকহোল্ডার বেসড মাস মিডিয়া-নিউজ কোম্পানির এক্সিকিউটিভ হেড হিসেবে চাকরির যাত্রাপথে উনি প্রতি পদক্ষেপে আমার সাথেই আছেন, আকাশ থেকেই দেখছেন ঠিক পারছি কিনা। ভালো থেকো যিশু জ্যেঠু।’