সাফল্যের শীর্ষে থেকেও কীভাবে মাটির কাছাকাছি থাকা যায় তা বারবার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। দেশের সেরা সঙ্গীতশিল্পীদের (Singer) মধ্যে একজন তিনি, তবুও বিন্দুমাত্র অহংকার নেই বাংলার এই ছেলের। এত বড় তারকা হলেও সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন তিনি। নিজের মাটির মানুষের মতো ব্যবহারে একাধিকবার সকলের মন জয় করেছেন অরজিৎ।
বাংলার এই ছেলের গানে মুগ্ধ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। কোটি কোটি শ্রোতা তাঁর গানের ভক্ত। তবে অরিজিৎ বারবার বলেছেন তিনি সোনু নিগমের (Sonu Nigam) অনেক বড় অনুরাগী। নব্বইয়ের দশকের আর পাঁচটি বাচ্চার মতো অরিজিৎও এই গায়কের গান শুনেই বড় হয়েছেন। তাঁকে দেখেই প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু বঙ্গ তনয়ের।
আজ সোনুর মতোই সফল প্লে ব্যাক গায়ক অরিজিৎ। তবে খ্যাতির শীর্ষে থাকলেও নিজের আদর্শকে সম্মান করতে কিন্তু ভোলেননি তিনি। সম্প্রতি যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার এই গায়কের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ফের একবার সোনুর প্রতি নিজের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জাহির করতে দেখা যায় ‘কেশরিয়া’ গায়ককে।
অরিজিৎ এমন একজন শিল্পী যিনি নিজের কনসার্টে নিজের গান গাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য গায়কদের গানও গেয়ে থাকেন। এমনই একটি কনসার্টে সোনুর আইকনিক ‘সাথিয়া’ গানটি গাইবেন বলে ঠিক করেছিলেন তিনি। তবে সেই গান শুরু করার আগেই শ্রোতাদের সতর্ক করে দেন অরিজিৎ।
মঞ্চে দাঁড়িয়েই এই গায়ক বলেন, ‘সোনু নিগমের গাওয়া গান… আমায় মাফ করবেন। আমার যোগ্যতা নেই এই গান গাওয়ার’। এই সতর্কবানী দেওয়ার পরেই ‘হাসতি রহে তু হাসতি রহে’ গাইতে শুরু করেন অরিজিৎ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও নজর এড়ায়নি সোনুরও।
View this post on Instagram
‘কেশরিয়া’ গায়কের থেকে এত সম্মান পেয়ে আপ্লুত ‘সাথিয়া’ গায়ক। অরিজিতের ভিডিওয় তিনি লেখেন, ‘এটা অরিজিতের ভালোবাসা এবং নম্রতা ছাড়া আর কিছুই নউ। এতে আমার কোনও কৃতিত্ব নেই। ওঁকে আমি প্রচণ্ড ভালোবাসি’।