আজ একটানা দীর্ঘ ১৭ দিন ধরে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে শয্যাশায়ী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। অভিনেত্রীর সুস্থতার জন্য দিনরাত প্রার্থনা করে চলেছে গোটা বাংলার মানুষ। গত ২রা নভেম্বর হটাৎই ব্রেন স্ট্রোক হয় অভিনেত্রীর। তড়িঘড়ি আন্দুলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেত্রীকে। শুরুতে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়, মাঝে একবার ভেন্টিলেশন থেকে বেড়িয়েওছিলেন। কিন্তু আবারও ভেন্টিলেশনে যেতে হয়, সেই থেকেই এপর্যন্ত ভেন্টিলেশনে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা।
ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন যখন সকলে তাঁর সুস্থতার জন্য কামনা করছেন তখন আরও একটি খারাপ খবর। মেলে কোমায় চলে গিয়েছেন অভিনেত্রী, বন্ধ হয়ে গিয়েছে অঙ্গ সঞ্চালন। তবে লড়াই এখনও চলছে। আর চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেশন, ওষুধ থেকে ডাক্তারের খরচও বেড়েই চলেছে ক্রমাগত। যেমনটা জানা যাচ্ছে, দৈনিক প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ পড়ছে।
অভিনেত্রী এর আগেও এই হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসা করিয়েছেন। সেই কারণে হাসপাতালের মানিগমেন্টের পক্ষ থেকে খরচের দিকে নমোজোর রাখেন হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। যদিও অভিনেত্রীর বিলের ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি তবে আন্দাজ করা হচ্ছে চিকিৎসার বিল এতদিনে ১০ লক্ষ হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) ঐন্দ্রিলার পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এপর্যন্ত যে খরচ হয়েছে সেই টাকাটা মেটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অরিজিৎ সিং। পাশাপাশি জানিয়েছেন আগামী দিনের চিকিৎসার খরচও বহন করার জন্য।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসার খরচের বিষয় নিয়ে কিছুদিন আগেই অভিনেতা পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্ব হয়েছিলেন। তিনি লেখেন, আমাদের একজন অভিনেত্রীকে সুস্থ করে তোলার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনার থেকেও বেশি অর্থ সাহায্য প্রয়োজন কি না সেটা ভেবে দেখা দরকার’।
এরপর সংবাদ মাধ্যমকেও অভিনেতা জানান, ঐন্দ্রিলা কোনো নেতা মন্ত্রী বা উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে নন। তাঁর মতে, ঐন্দ্রিলার পরিবার এখনও পর্যন্ত কোনো অর্থ সাহায্য চাননি ঠিকই। তবে একটা সময় সবারই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। সেই কথা মনে রেহাকেই সকলের উচিত ঐন্দ্রিলার পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। প্রয়োজনে অর্থ সাহায্য করতে হবে।