রাত হলেই প্রেমিক, প্রেমিকার কানে হালকা আওয়াজে বাজতে থাকে অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)-এর গান। এই অরিজিৎ সিং মানেই আবেগের নাম, অরিজিৎ সিং মানেই মন ভালো করা গান। তবে অসংখ্য ব্যর্থতা পেরিয়েই তবে এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছেন অরিজিৎ। স্বভাবে খুবই শান্ত এবং ধীরস্থির তিনি, গানে যতটা বলতে পারেন মুখে পারেননা।
যেই গায়ক দিনের পর দিন মানুষকে আনন্দ দিয়ে আসছে গত মাসেই তার জীবনে নেমে এসেছে সবচেয়ে খারাপ দিনটা। সদ্যই মা হারা হয়েছেন অরিজিৎ সিং, সেই শোক সামলে ওঠা সহজ নয়। গত মাসের শুরুতেই সাউথ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অরিজিৎ সিংয়ের মা অদিতি দেবী। চিকিৎসার জন্য তাঁকে জিয়াগঞ্জ থেকে প্রথমে বহরমপুর মাতৃসদনও পরে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রয়োজন হয়েছিল প্রয়োজন A – রক্তের। এই খবর পাওয়া মাত্রেই এগিয়ে এসেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মত টলিউডের প্রথম সারির তারকারা। সকলের সহযোগীতায় সেবারের মতো সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
করোনা মুক্ত হয়ে এরপর ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই ছিলেন তিনি। কিন্তু তবুও শেষমেশ মা’কে বাঁচাতে পারলেন না গায়ক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেরিব্রাল স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এবার সেই মায়ের স্মৃতি চারণ করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক গুচ্ছ প্রিয় ছবি শেয়ার করলেন গায়ক। কোথাও মাকে জড়িয়ে আছেন, কোথাও বা মায়ের কোলে মাথা রেখে একটু শান্তি খুঁজে নিচ্ছেন তিনি। এভাবেই মা কে হারানোর ক্ষততে হালকা মলম লাগিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে ফেম গুরুকুল নামের একটি রিয়েলিটি শো দিয়েই তার প্রথম বলিউডে অভিষেক। তবে সেখানে জনপ্রিয়তার বিন্দুমাত্র পাননি তিনি, হতে পারেননি বিজয়ী-ও৷ আশিকী-২ (Aashiqui-2) ছবিতে ‘তুম হি হো’ গেয়েই বিপুল জনপ্রিয়তা পান অরিজিৎ।
এরপর বলিউড থেকে টলিউড লাগাতার অসংখ্য হিট গান উপহার দিয়েছেন গায়ক।২০১০-১১ নাগাদ সংগীত পরিচালক প্রীতমের বিভিন্ন প্রোজেক্টে কাজ করতে শুরু করেন তিনি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত একাধিক গান গেয়েছেন, যার প্রতিটি সুপারহিট।