কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) ভক্ত রয়েছে সর্বত্র। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের এই গায়কের গানে মুগ্ধ আট থেকে আশি সকলে। তিনি যে কত আইকনিক গান গেয়েছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল এই অরিজিতেরই জন্মদিন ছিল। আর ছেলের জন্মদিনের (Birthday) দিনই তাঁর বাবা সুরিন্দর এমন এক উদ্যোগ নিলেন যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন প্রত্যেকে।
অরিজিতের জন্মদিন উপলক্ষ্যে গতকাল সকাল থেকেই শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করে দিয়েছিলেন সকলে। গায়কের অনুরাগীদের জন্য গতকাল কোনও উৎসবের চেয়ে কম ছিল না। তবে যাকে নিয়ে এত মাতামাতি সেই অরিজিৎ অগোচরে থাকতেই ভালোবাসেন। তারকা হলেও মাটিতে পা রেখে চলতেই পছন্দ করেন তিনি।
আসলে অরিজিৎ এমন একজন মানুষ যিনি নিজের জন্মদিনে এলাহি আয়োজন করতে একেবারেই ভালোবাসেন না। গায়কের বাবা সুরিন্দরবাবুও (Surinder Singh) ছেলের মতোই মাটির মানুষ। সেই জন্য তো ছেলের জন্মদিনে তিনি এলাকার প্রত্যেক মানুষের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দিয়েছিলেন। সবার জন্য খুলে দিয়েছিলেন নিজের রেস্তোরাঁর (Restaurant) দরজা।
সুরিন্দরবাবু এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক মানুষের আশীর্বাদের সৌজন্যেই আজ ছেলে এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছে। তাই এদিন সকল দুঃস্থ মানুষদের জন্য ‘হেঁসেল’এর দরজা খোলা থাকবে’। অরিজিতের মতোই তাঁর বাবাও দুঃস্থদের মুখে হাসি ফুটিয়েই এই দিনটি বিশেষ করে তোলেন।
গতকাল একদল কচিকাঁচা উপস্থিত হয়েছিলেন অরিজিতের বাবার রেস্তোরাঁয়। জানা গিয়েছে, প্রায় ৩৫জন পথশিশু গায়কের বাবার রেস্তোরাঁয় খাবার খায়। অবশ্য শুধুমাত্র পথশিশুরাই নয়, গতকাল অরিজিতের বাবার রেস্তোরাঁ খোলা ছিল সকলের জন্য।
‘কেশরিয়া’ গায়কের পিতা সুরিন্দর ওরফে কাক্কা সিং এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘রোজই তো ব্যবসা করি। সেই জন্য প্রত্যেক বছরের পর মতো এবারও ছেলের জন্মদিনের দিন সকলের জন্য হেঁশেলের দরজা খোলা রেখে দিয়েছিলাম। কোনও প্রচারের লোভে নয়, বরং মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই এই কাজ করেছিলাম’।