বিশ্বের দরবারে বাংলার নাম উজ্জ্বল করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান রয়েছে বিশাল, গল্প-উপন্যাস থেকে শুরু করে সহস্র গান ও কবিতা লিখেছেন তিনি। তেমনি ভারতের ‘সুর সম্রাজ্ঞী’ মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) ও আমাদের কাছে অতি গর্বের। এবছরেই দীর্ঘ অসুস্থতার পর প্রয়াত হয়েছেন তিনি। নিজের অজস্র গান ইহজগতে রেখে সুরের দেশে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। তবে সম্প্রতি সুর সম্রাজ্ঞীকে নিয়ে বেশ কিছু স্মৃতি শেয়ার করেছেন বাংলার গর্ব অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)।
প্রয়াত সুর সম্রাজ্ঞীর থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন অরিজিৎ সিং। যেটা তাঁর সারাজীবনের চলার পাথেয় হয়ে থাকবে। সাথে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সাথে লতা মঙ্গেশকরের তুলনা করেছেন গায়ক। কিন্তু হটাৎ কেন এমন তুলনা? কারণটাও নিজেই ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন খুব সুন্দর করে।
সুরের জগতের নাইটেঙ্গেল যেমন লতা মঙ্গেশকর তেমনি রবি ঠাকুরও নিজের জায়গায় শ্রেষ্ঠ। এদিন অরিজিৎ জানান, ‘রবি ঠাকুরের লেখা পড়লে যেমন নিজের সাথে অনেক সাদৃশ্য পাওয়া যায়। যেমন প্রতিটা লেখাতেই জাদু অনুভব করা যায়। তেমনই লতাজির গাওয়া গানও প্রতিটা গান মন ছুঁয়ে যায়, জাদু অনুভব করা যায়’।
অরিজিৎ বলেন, লতাজির গাওয়া যে কোনো গানের সাথেই নিজেকে একাত্ম করে নেওয়া যায়। ঠিক যেমন প্রায় সমস্ত ধরণের কবিতা ও গল্প রবি ঠাকুর লিখে গেছেন। তেমনই এমন কোনো অনুভূতি নেই যেটা লতাজি নিজের কণ্ঠের জাদুতে ফুটিয়ে তোলেন নি।
এরপর অরিজিৎ আরও জানান, ‘কঠিন থেকে একোটাহঁতৰ গানকেও অতি সহজেই গেয়ে ফেলতেন লতা জি। তাঁর গানটি শোনার সময় মেন্ হট খুবই সহজ। কিন্তু যখন করার সময় আসত তখনই বোঝা যেত গানটি কতটা কঠিক। এত বড় মাপের একজন শিল্পী যিনি গোটা বিশ্বে সমাদৃত ছিলেন, তবুও তার মধ্যে সরলতা ছিল। সাধারণ মেয়ের মতোই নিজের সুরের জাদু ছড়িয়ে গিয়েছেন। তাকে দেখে অনেক কিছুই শেখার রয়েছে’।
প্রসঙ্গত, এর আগে সুর সম্রাজ্ঞী প্রয়াত হওয়ার পর তাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে অনুষ্ঠান করেছেন অরিজিৎ সিং। মঞ্চে লতাজির গাওয়া একেরপর এক গান তুলে ধরেছেন নিজের মত করে, যা মন্ত্র মুগ্ধ করেছে প্রতিটা শ্রোতাকে।