অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) শুধুমাত্র ভালো গায়ক নন, অত্যন্ত বড় মনের মানুষও- এই কথাটি আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। মাঝেমধ্যেই নিজের উদার ব্যবহারের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের মন জয় করে নেন তিনি। সম্প্রতি ফের একবার নিজের ব্যবহারের মাধ্যমে প্রত্যেককে মুগ্ধ করলেন ‘কেশরিয়া’ গায়ক। এত বড় মাপের তারকা হওয়া সত্ত্বেও ভক্তদের কাছে ক্ষমা (Apology) চেয়ে অরিজিৎ প্রমাণ করে দিলেন তাঁর মনটা ঠিক কতখানি বড়।
গত শনিবার কলকাতায় অরিজিতের কনসার্টের (Arijit Singh Kolkata concert) আয়োজিত হয়েছিল। বাংলার একাধিক বিখ্যাত ব্যান্ড, সঙ্গীতশিল্পীদের গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন তিনি। বোনাস হিসেবে ছিল রূপস ইসলামের সঙ্গে তাঁর ডুয়েট। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক গান গাইছিলেন অরিজিৎ, আর নীচে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলছিলেন তাঁর ভক্তরা। সবকিছুই তো ঠিক ছিল, তাহলে হঠাৎ কেন অনুরাগীদের থেকে ক্ষমা চাইলেন গায়ক?
আসলে শনিবার অরিজিতের কনসার্টে যারা গিয়েছিলেন, প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে তাঁদের গাড়ি পার্ক করে হেঁটে আসতে হয়েছিল। সেই সঙ্গেই আয়োজকদের তরফ থেকেও বেশ কিছু ভুলত্রুটি হয়েছিল যে কারণে কষ্ট ভোগ করতে হয়েছিল শ্রোতাদের। আর সেকথা জানতে পেরেই কেঁদে উঠেছে গায়কের মন।
সকল ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে অরিজিৎ ফেসবুকে লেখেন, ‘কলকাতা, আমি ক্ষমাপ্রার্থী যে আপনাদের প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে গাড়ি পার্ক করে হেঁটে আসতে হয়েছিল। কারণ টোটো রিক্সাগুলি ভিড় সামলাতে পারছিল না। আমি দুঃখিত আপনাদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসে মশার কামড় খেতে হয়েছিল। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কারণ কিছু স্বেচ্ছাসেবক অনেকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন যেন তাঁদের কাছে সেই কর্তৃত্ব ছিল’।
অরিজিতের সংযোজন, ‘আমি দুঃখিত যে অনেক মানুষ ঠিক সময়ে ভিতরে ঢুকতে পারেননি কারণ যারা হ্যান্ড ব্যান্ডের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা ঠিক করে সহায়তা করেননি। অনেকের কাছে হ্যান্ড ব্যান্ডের বিষয়টি নতুন ছিল। ক্ষমা চাইছি যে আপনাদের নিজেদের সবটা সামলাতে হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আপনারা আমায় যে পরিমাণ ভালোবাসা দিয়েছে সেই জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার হৃদয়জোরা ভালোবাসা!!! আমি চেষ্টা করব পরের বার এর থেকে ভালো অভিজ্ঞতা দেওয়ার। সবাই ভালো থেকো’।
শ্রোতাদের কষ্টের খোঁজখবর নিয়ে অরিজিৎ যেভাবে প্রকাশ্যে তাঁদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন প্রত্যেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে ‘অরিজিৎ বন্দনা’। একজন লিখেছেন, ‘আপনি যেটা করলেন স্যার, তার জন্য বুকের পাটা লাগে বস’। কেউ আবার প্রশ্ন করেছেন, ‘কোনও মানুষ এতখানি বিনয়ী কীভাবে হতে পারে’?