আজ থেকে তিন বছর আগেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় বাংলাদেশের এককালের সেলিব্রেটি দম্পতি শাকিব খান (Shakib Khan) এবং তাঁর স্ত্রী অপু বিশ্বাসের (Apu Biswas)। জানা যায় অপুর সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কে থেকেও তা কৌশলে চাপা দিয়ে রেখেছিলেন শাকিব । পরবর্তীতে একপ্রকার চাপে পড়েই ২০১৭ সালে তিনি জনসমক্ষে নিজের স্ত্রীর পরিচয় জানাতে বাধ্য হন।
কিন্তু বিয়ের পর অপু অন্তঃসত্ত্বা হলে শাকিব অপুকে শর্ত দিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে সংসার করতে হলে তিনি কোনোদিন মা হতে পারবেন না। তাই গর্ভে সন্তান আসলে অপুকে গর্ভপাত করাতে বলেন শাকিব। আর সেইসাথে তিনি এও জানান অপু যদি গর্ভপাত না করেন তাহলে শাকিব তাঁকে ডিভোর্স দেবেন। পরবর্তীতে অপু দাবি করেন শাকিবের চাপে পড়ে তিনি তিনবার গর্ভপাত করিয়েছিলেন।
কিন্তু চতুর্থ সন্তানের ক্ষেত্রে আর নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি অপু। ততদিনে তাঁর সহ্যের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছিলেন শাকিব। তাই সেবার আর একই ভুলের পুনরাবৃত্তি তিনি করেননি। এছাড়া চিকিৎসকও তাঁকে গর্ভপাত না করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপরই অপুর কোল আলো করে আসে তাঁর একমাত্র পুত্রসন্তান আব্রাম খান জয় ( Abram Khan Joy)।
উল্লেখ্য অপু গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন শাকিব তাঁকে ডিভোর্স দিতে পারেননি। কারণ শাকিবের মা তাকে বলেছিলেন, ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম নেই। এই কারণে সন্তানের জন্মের পর শাকিবকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন তাঁর মা। অপু জানান ছেলের জন্মের পর নেওয়ার পর শাকিব বা অপুর শ্বশুরবাড়ির কোনো সদস্য তাকে দেখতে আসেননি। এই ঘটনায় আঘাত পেয়েছিলেন অপু।
ছেলের জন্মের পর যেদিন শাকিব প্রথম জয়ের মুখ দেখতে যান সেদিনও ছেলেকে খালি হাতে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অপু জানিয়েছিলেন, প্রথম সন্তানের মুখ কোনো পিতা খালি হাতে দেখেন না। সেসময় অপু নিজেই জয়ের জন্য চেন ও বালা কিনে শাকিবকে পরিয়ে দিতে বলেছিলেন। আর শাকিব সেই গয়নার দাম দিয়েছিলেন অপুকে। এই ঘটনার পর শাকিব খানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন অপু।এরপর ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়।