এই মুহুর্তে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে গাছের মত ছাঁয়া দিয়ে চলেছেন তিনি। ছোট পর্দা হোক বা বড় পর্দা তাঁর দাপুটে অভিনয়ের প্রশংসা করেনা এমন বাঙালি নেই। তিনি সকলের প্রিয় লক্ষ্মী কাকিমা ওরফে অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের দমেই টিকে রয়েছেন তিনি। ঠোঁট কাটা এই অভিনেত্রী জীবন বা অন্যান্য কোনোও পরিসর নিয়েই কখনও রাখঢাক করেননি৷ কারণ তিনি জানেন তার পরিচয় তার অভিনয়ই।
নায়িকা বলতে লোকে যেমন বোঝেন ফর্সা, পাতলা কোমর, লম্বা, ছিপছিপে এমন কোনোও বৈশিষ্ট্যই তার ছিলনা৷ একটি রিয়েলিটি শো-এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজেই তাই স্বীকার করেছিলেন চেহারা নিয়ে কতটা কটাক্ষ সহ্য করতে হয় তাকে৷ নায়কেরা তাঁকে বলেছেন, ‘‘এ বার তো আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করবি!’’
দীর্ঘ দুই দশক টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। তাই তার অভিজ্ঞতাও যে অনেকের থেকেই বেশি তা বলাই বাহুল্য। বয়স যেন তার কাছে কেবলমাত্র একটি সংখ্যা। সর্বদাই একরাশ হাসি নিয়ে দেখতে পাওয়া যায় অভিনেত্রীকে। একসময় ছোটপর্দা অর্থাৎ সিরিয়ালে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতেছিলেন অভিনেত্রী। তবে মাঝে দীর্ঘ চার বছর বড়পর্দাতেই দেখা মিলেছে তার। কিন্তু জি বাংলার পর্দায় সম্প্রতি এসেছে নতুন ধারাবাহিক, ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’, সেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন স্বয়ং অপরাজিতা।
তার বহুপ্রতীক্ষিত ছবি ‘বেলাশুরু’ ও মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছে। এই ছবিতে সৌমিত্র চ্যাটার্জির মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অপরাজিতা৷ এবার তিনি মুখ খুললেন টলিউডে হওয়া তার কিছু নোংরা অভিজ্ঞতা নিয়ে। তিনি জানান, শুরুর দিকে নায়িকা হওয়ার অফার পেয়েছিলেন তিনি, সাথে পেয়েছিলেন কুপ্রস্তাবও৷ প্রযোজকের হাতের লোক তাঁকে আলাদা করে ডেকে বলেন, ‘‘এই চরিত্রটা তুমিই করবে। কিন্তু প্রযোজক তোমার সঙ্গে আলাদা জায়গায় দেখা করতে চেয়েছেন।’’
এরপরই অপরাজিতা ঠিক করেন তিনি ছোট পর্দাতেই নিজেকে উজার করে দেবেন, কারণ সেখানে তিনি সম্মান পেয়েছেন যথেষ্ট। এরপর ইন্ডাস্ট্রির সেই একচেটিয়া বাজারে ধীরে ধীরে এসেছে পরিবর্তন। নতুন ভাবনা চিন্তার মানুষেরাও এসেছে, তখন ফের বড় পর্দায় নেমেছেন অপরাজিতা৷