সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) এক এবং অদ্বিতীয়। তাঁর তুলনা নিজেই। তাই বিশ্ববরেণ্য এই পরিচালকের বিকল্প না কোনোদিন ছিল আর না কোনদিন হবে। এই কারণেই মৃত্যুর এত বছর পরেও কিংবদন্তি এই শিল্পী আজও জীবিত তার অসামান্য সব শিল্প কর্মের মধ্যে দিয়েই। সিনেমাপ্রেমীদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত ১৩ মে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক অনীক দত্ত (Anik Dutta) পরিচালিত সিনেমা ‘অপরাজিত’ (Aparajito)।
কিংবদন্তী পরিচালকের কালজয়ী সৃষ্টি ‘পথের পাঁচালি’ তৈরির কিছু নেপথ্য কাহিনী নিয়ে তৈরি অপরাজিত ইতিমধ্যেই অনেকে দেখে ফেলেছেন রুপোলি পর্দায়।যারা দেখেছেন তারা সকলেই মুগ্ধ হয়েছেন। তাই হলফেরত দর্শকদের কথায় সিনেমাটি চিরকাল বাঙালির কাছে অমূল্য সম্পদ হয়েই গচ্ছিত থাকবে। যার সবটুকু কৃতিত্বই বর্তায় সিনেমার পরিচালক অনীক দত্ত, এবং সত্যজিৎ রায় রূপী অপরাজিত অর্থাৎ জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা জীতু কমলের।
কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের নাম ভূমিকায় জীতু কমলের অভিনয় দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্বয়ং সত্যজিৎ রায়ের ছেলে সন্দীপ রায় থেকে শুরু করে বাংলার বিখ্যাত পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো সিনেমার বোদ্ধারাও। যদিও সিনেমা মুক্তির পরেই বেশ কিছু জায়গায় হল পায়নি এই সিনেমা। এমনকি খোদ সত্যজিৎ রায় প্রতিষ্ঠিত নন্দনেই জায়গা হয়নি অপরাজিতর।
তবে এখন বাড়ছে হলের সংখ্যা।আর এখনও পর্যন্ত যে হল গুলিতে অপরাজিত মুক্তি পেয়েছে তার সবকটিই ইতিমধ্যে হাউসফুল। হল ফেরত দর্শকদের চোখ মুখের তৃপ্তি আর করতালি শুধু নয়, সেইসাথে সংবাদপত্রেও তাবড় ফিল্ম সমালোচকদের লেখায় ঝড়ে পড়ছে অপরাজিত সিনেমার প্রশংসা। সিনেমা শেষ হতেই দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এই ছবিকে এবং সত্যজিৎ রায়কে।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত জীতু কমল নিজে সোদপুরের ছেলে। সম্প্রতি তিনি হাজির হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের অতীন্দ্র ও জয়ন্তী সিনেমা হলে । সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা। সিনেমা শেষে হলের মধ্যে পর্দার অপরাজিত কে বাস্তবে চোখের সামনে ভক্তদের উচ্ছাসের শেষ ছিল না। কেউ তাকে জড়িয়ে ধরেছেন তো কেউ সেলফি তুলেছেন। এসবের মধ্যে হলে উপস্থিত এক বৃদ্ধা কে প্রণাম করে আবারও নেটিজেনদের মন জয় করে নিয়েছেন অভিনেতা