টলিউডে সময়ে সময়ে একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীরা এসেছেন। তবে মহানায়ক উত্তম কুমার পরবর্তী সময়ে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিলেন অঞ্জন চৌধুরী (Anjan Chowdhury)। তাঁর দুই কন্যা চুমকি চৌধুরী ও রীনা চৌধুরী দুজনেই অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতেছেন। তবে সমকালীন একাধিক তারকারা ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে গেলেও বর্তমানে তাদের দেখা মেলেনা খুব একটা। কিন্তু এবার বাংলা ছবিতে বাবা অঞ্জন চৌধুরীকে নিয়ে বিদ্রুপ হওয়ায় প্রতিবাদে সরব হলেন দুই কন্যা চুমকি (Chumki Chowdhury) ও রীনা (Rina Chowdhury)।
কিছুদিন আগে রিলিজ হয়েছে মৈনাক ভৌমিক (Mainak Bhowmik) পরিচালিত ছবি ‘একান্নবর্তী’। ছবিতে একটি সংলাপে বিদ্রুপ করা হয়েছে অঞ্জন চৌধুরীকে। মৈনাকের মত শিক্ষিত একজন পরিচালকের থেকে এটা কখনোই আশা করতে পারেননি চুমকি বা রীনা দুজনের কেউই। সোশ্যাল মিডিয়াতেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
টলিউডে আশি নব্বইয়ের দশকে একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন অঞ্জন চৌধুরী। তাঁর ছবির মধ্যে দিয়েই প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী, তাপস পালের মত অভিনেতারা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। বাবার হাত ধরে চুমকি ও রীনা দুজনেই এসেছিলেন টলিউডে। তবে নেপোটিজম বিষয়টা ছিল না। কারণ সেটা যদি থাকতো তাহলে বাংলা সিরিয়ালের বিখ্যাত প্রযোজক তথা পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী যে কিনা তাদের ভাই তাঁর সিরিয়ালে অনায়াসে কাজ করতেন তাঁরা।
অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক ছিলেন তাদের বাবার মত। মজা করে ছোট বেলায় তিনি চুমকিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন নায়িকা হতে চান কি না? এরপর বড় হয়ে অভিনেত্রী হয়ে রঞ্জিত মল্লিককে জানিয়েছিলেন আমি অভিনেত্রী হয়ে দেখিয়েছি। অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় তাদের গ্লিসারিন ছাড়া অভিনয়ের সময় চোখে জল আনা শিখিয়েছিলেন। অনুপ কুমারের থেকে সুখেছিলেন বড় পর্দায় কিভাবে চোখের পলক ফেলতে হয়।
তাঁদের দুজনের মতে, আসলে আমাদের প্রজন্মের নায়িকাদের মধ্যে ‘ক্যাটফাইট’ তেমন ছিল না। সকলের সাথেই ভালো বন্ধুত্ব ছিল। পুরোনো দিনের স্মৃতি মনে করে চুমকি জানান, একসময় প্রসেনজিৎ ও তাপস পাল একসাথে গল্প করলে তাদের দুজনকে সেই গল্প না শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলতেন।
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী জানান একসময় অঞ্জন চৌধুরীর সিনেমার ক্যাসেট পাওয়া যেত না দোকানে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে এক দোকানদারের থেকে জানা যায়, অন্যান্য নামি পরিচালকেরা সেই ক্যাসেট নিয়ে দেখতেন ও নিজেদের মত করে ছবি বানিয়ে নাম করতেন। যদিও পরিচালকের কোনো নাম প্রকাশ্যে আনেননি দুজনের কেউই।