‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে নোয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das), আর তার মায়ের ভূমিকায় ছিলেন অনিন্দিতা রায়চৌধুরী (Anindita Roy Chowdhury)। টানা ৬ মাস পর্দায় তারা মা মেয়ে ছিলেন, এমনকি সেই বন্ধুতা ধরা পড়েছিল পর্দার বাইরেও। রিল থেকে শুরু করে রিয়েল লাইফেও শ্রুতি অনিন্দিতার ভালোবাসা নজর কেড়েছিল নেটিজেনদের।
দিন কয়েক আগেই মাত্র ৫ মাসের প্রেমিক সুদীপ সরকারের গলায় মালা দিয়ে আইনি বিয়ে সেরেছেন অনিন্দিতা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় পর্দার মেয়ের চিহ্ন টুকুও ছিলনা সেই বিয়েতে। আর এতেই বেজায় গাল ফুলেছে শ্রুতির। অভিমান করে শ্রুতি জানিয়েছেন অনিন্দিতার বলা পুরোনো দিনের কথা গুলো, যা আজ তার কাছে মিথ্যে বলেই মনে হচ্ছে।
শীত পড়তেই শ্রুতির আবদার রাখতে জয়নগরের মোয়া খাইয়েছিলেন অনিন্দিতা, অন্যদিকে বাবা মাকে ছেড়ে দূরে থাকেন অনিন্দিতা তাই শ্রুতির মা নিজের হাতে পায়েশ রেঁধে খাইয়েছিলেন মেয়ের পর্দার মাকে। যখনই শ্রুতিকে নিয়ে কোনও কটাক্ষ করেছেন নেটবাসী অনিন্দিতা মাঠে নেমে ধুয়ে দিয়েছেন তাদের। আবার শ্রুতির কাছেও অনিন্দিতা ‘সাহসী মেয়ে।’
যেখানে অনিন্দিতা নিজে বলতেন মানালি, আভেরি, ঈশানি আর শ্রুতি ছাড়া তার ভাল বন্ধু নেই। সেখানে বিয়েতে সকলেই উপস্থিত ছিলেন কেবল বাদ পড়েছেন শ্রুতি। শ্রুতি একরাশ অভিমান জমানো গলায় বলেন, ‘‘আমি জানতাম না ও প্রেম করছে। আমি জানতাম না ও বিয়ে করছে। সব বাইরে থেকে জেনেছি।” এরপর নাকি অনিন্দিতাকে অভিমান নিয়েই বার্তাও পাঠিয়েছিলেন ‘নোয়া’, মা ‘রূপালী’ উত্তরে কেবল লিখেছেন ধন্যবাদ।
আজ শ্রুতির কানে বাজছে অনিন্দিতার সেই কথাটাই, ‘‘শিল্পী মহলে কেউ কারও বন্ধু হয় না। সবাইকে এত বিশ্বাস করবি না বোকার মত।’’ এবার অনিন্দিতার নিজের মুখে বলা কথা নিজেই সত্যি করে দিলেন শ্রুতির ক্ষেত্রে। শ্রুতি জানিয়েছেন এ প্রসঙ্গে, “ভালোবাসা কমবেনা, কেবল যে দূরত্ব তৈরি হল তা আর ঘোচার নয়”৷ ইন্ডাস্ট্রির সকলেরই এই বিষয়টা চোখে লেগেছে। অপদস্তও হয়ে হয়েছে তাই শ্রুতিকে।
এদিকে অনিন্দিতার সাফাই করোনা পরিস্থিতির জন্য বিয়েতে জনা কয়েক মানুষ নিয়ে মাস্ক পরে সই সাবুদ সেরেছি, খুব শিগগিরই পার্টি দেব আর সেখানে এই পর্দার মেয়েই দেখবেন জমিয়ে নাচছে।