চলতি মাসেই অর্থাৎ কুড়ি আগস্ট মা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাম কাপুর (Sonam Kapoor)। দীর্ঘ ৯ মাসের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এক ফুটফুটে পুত্র সন্তানের (Baby Boy) জন্ম দিয়েছেন বিটাউনের এই ফ্যাশনিস্তা। সোনামের ছেলে হওয়ার খবর প্রকাশ আসা মাত্রই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সন্তান প্রসব করার দিনেই সোনম এবং তার স্বামী আনন্দ আহুজার (Anand Ahuja)তরফে সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকে ছেলে হওয়ার সুখবর দিয়ে একটি পোস্ট করা হয়েছিল।
সেই পোস্টে দম্পতি লিখেছিলেন ‘আমরা নত মস্তকে আর সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছি আমাদের পুত্র সন্তানকে। সমস্ত ডাক্তার, নার্স, বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের ধন্যবাদ। আমাদের এই সফরে পাশে থাকার জন্য। যদিও এটা সবেমাত্র শুরু হয়েছে তবে আমরা বুঝতে পারছি এটা আমাদের জীবন বদলে দিতে চলেছে।’ তাদের সেই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষ উপচে পড়েছিল অসংখ্য মানুষের শুভেচ্ছা বার্তা।
মেয়ের প্রথমবার মা হওয়ায় খুশির জোয়ার অনিল কাপুরের (Anil Kapoor) পরিবারেও। বাড়ির নতুন খুদে সদস্যকে অভ্যর্থনা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেছিলেন মিস্টার ইন্ডিয়া নিজেও। সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন ‘আনন্দের সাথে জানাচ্ছি আজ ২০ অগাস্ট ২০২২ এ আমাদের পরিবারে নতুন সদস্য এসেছে। সোনাম ও আনন্দের কোল আলো করে পুত্র সন্তান হয়েছে। আমাদের খুশির কোনো সীমা নেই, আর নতুন বাবা মা ও ছোট্ট দেবদ্যুতের জন্য আমার হৃদয়ভরা ভালোবাসা।’
ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সোনমের ছেলের ডাকনাম। দাদু অনিল কাপুর চান তার নাতি সিংহের মতো তেজস্বী, বলীয়ান হয়ে উঠুক। তাই ‘লায়ন কিং’ সিনেমার পশু যুবরাজের নাম অনুসারেই একরত্তির নাম দিয়েছেন তিনি সিম্বা। যদিও এখনও পর্যন্ত ছেলের নাম এবং মুখ কোনটাই প্রকাশে আনেননি সোনাম এবং তার স্বামী আনন্দ।
প্রসঙ্গত শুক্রবারই মুম্বাইয়ের হাসপাতাল থেকে কাপুর বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে পা রেখেছেন সোনাম। তাদেরকে স্বাগত জানাতে করা হয়েছিল এলাহী আয়োজন। ওই দিনই নাতির মুখ দেখতে একটি বিশেষ উপহার (Special Gift) একটি বিশেষ উপহার দিয়েছেন দাদু অনিল কাপুর। চিত্রকর ঋতিকা মার্চেন্টের আঁকা একটি বিশেষ ইঙ্গিতপূর্ণ ছবি উপহার দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অনিল লিখেছিলেন, ‘সোনম এবং আনন্দ একটি সুস্থ পুত্রসন্তানের অভিভাবক হয়েছে। এ তো আশীর্বাদ।আমরা উচ্ছ্বসিত।’
প্রাচীন রূপকল্পনার ওপরে তৈরী এই ছবিটি পোস্ট করে তার অন্তর্নিহিত অর্থ বিশ্লেষণ করে সোনাম একটি দীর্ঘ বার্তা দিয়ে যা লিখেছেন তার সংক্ষেপে বললে দাঁড়ায় এই যে ছবির দুপাশে থাকা দুটি প্রতিকৃতির মধ্যে একটি হল আকাশের মতো দীঘল, শিকারি ঈগল,আর অন্য দিকে ধরিত্রী মাতার রূপকে রয়েছে কোমল, সহিষ্ণু, সতর্ক হরিণ। তাদের দু’জনের মিলনে তাঁদের মাঝে অঙ্কুরিত ভ্রূণই হল বিশ্বের স্পন্দন।