এই মুহুর্তে টেলিভিশনের পর্দায় সবচেয়ে জনপ্রিয় শো- হল সারেগামাপা (Sa re ga ma pa)। এই মঞ্চে ইতিমধ্যেই রাজ করছে এক ঝাঁক বঙ্গ প্রতিভা, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্নিগ্ধজিৎ থেকে শুরু করে অনন্যা চক্রবর্তী, নীলাঞ্জনা ঘোষ, দীপায়ন ভট্টাচার্যরা। বাংলার এই গানপ্রেমী তরুণ ব্রিগেডের গান এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে দেশ তথা গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।
আর এদের মধ্যে বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছেন বাংলার মেয়ে অনন্যা চক্রবর্তী (Ananya Chakraborty)। প্রথম দিন থেকেই অন্য ধাঁচের গান গেয়ে শ্রোতাদের মন ভরিয়েছেন তিনি। প্রথাগত বলিউডের গান থেকে বেরিয়ে জাতীয় স্তরের মঞ্চে তিনি বাংলার বাউলের মিশেলে শুনিয়েছেন নানান হিন্দী মাস্টারপিস। হাতে একতারা, আর কালার ব্রিড করা হেয়ার স্টাইলে প্রথম থেকেই অন্যদের থেকে নিজেকে একটু আলাদা করে নিয়েছেন অনন্যা।
একথা প্রাচীন কাল থেকেই রটে আসছে যে অবাঙালি শিল্পীরা নাকি বাংলার প্রতিভাদের উঠতেই দেয়না। একারণেই নাকি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখার্জিরা বলিউডে সুযোগ পাননি। এছাড়াও এর আগে বহু বঙ্গ প্রতিভাই মুম্বইয়ের রিয়েলিটি শো-এ গিয়েছেন কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফাইনালের আগেই তারা ছিটকে যান প্রতিযোগীতা থেকে৷
এবার এই দীর্ঘদিনের চলে আসা রটনা নিয়ে মুখ খুললেন অনন্যা চক্রবর্তী। এই মুহুর্তে মুম্বইয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। তবে অনন্যার গলায় কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য সুর৷ তার মতে ‘সারেগামাপা’ এখন তার সেকেন্ড হোম। বন্ধু বান্ধব, হাসি ঠাট্টা, সঙ্গীত চর্চা সব মিলিয়ে নাকি দিব্য আছেন অনন্যা।
এদিন ফেসবুকে তার দুই গুরু জয়দীপ দিলীপ ভাগবতকর এবং নীরজ কালকরের সাথে ছবি পোস্ট করে অনন্যা লিখেছেন, ভারতবর্ষ বিচিত্র। এখানে যেমন বলা হয় “বাঙালি শিল্পীদের অবাঙালী শিল্পীরা উঠতেই দেয়না, জায়গা ছাড়েনা, আবার অন্যদিকে বম্বের এই দুই মহারাষ্ট্রীয় গুরু, পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা, এক লোক সঙ্গীত শিল্পীকে চূড়ান্ত ভালোবাসে, নিজের মেয়ের মতো সমস্ত রকম জংলীপনা সহ্য করে, মাছ খেতে পারিনা বলে, নিজের হাতে বাজার করে,মাছ রান্না করে আনে, গুরুর তার মেয়ের প্রতি অগাধ বিশ্বাস। বলে তুই পারবি, তোকে পারতেই হবে। আবার বলবো,যেকোনো রকম ভেদাভেদ থেকে দূরে থাকুন।ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন।আর কী বা আছে, ভালোবাসা ছাড়া। “