দীর্ঘ ২২ সপ্তাহের লড়াই শেষে সদ্য সারেগামাপার (Sa Re Ga Ma Pa) বিজয়ীর ট্রফি জিতে নিয়ে গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছেন বাংলার ছোট্ট শহর আলিপুরদুয়ারের মেয়ে নীলাঞ্জনা রায় (Neelanjana Roy) । তবে গোটা সিজনে একের পর এক দুর্ধর্ষ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেও বিজয়ীর ট্রফি অধরাই রয়ে গিয়েছে বাংলার আর এক তারকা প্রতিযোগি অনন্যা চক্রবর্তীর (Ananya Chakraborty)।গ্রান্ড ফিনালেতে পৌঁছেও একটুর জন্য ছিটকে যান অনন্যা।
বাংলার পর জাতীয় স্তরের সারেগামাপার মঞ্চেও সকল দর্শক শ্রোতা থেকে বিচারক সকলের অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়ে এসেছেন অনন্যা। তাই অনন্যার সঙ্গীতের মহাযুদ্ধের এই হার মানতে পারেননি তার ভক্তদের একটা বিরাট অংশ। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতাতেও। কিন্তু একথাও তো ঠিক, প্রতিযোগিতায় হার জিৎ লেগেই থাকে। একইসাথে সবাই তো আর প্রথম বা দ্বিতীয় হতে পারে না।
তাই সহজ সত্যিটা মেনে নিয়ে জীবনের আগামী দিনগুলোর জন্য নিজেকে আরও ভালোভাবে তৈরি করার মনোনিবেশ করেছেন বাংলার এই গুণী শিল্পী। এমনিতে গানের মতোই অনন্যার ভক্তদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয় তার কোয়ার্কি স্টাইলে। সম্প্রতি নিজের এই চিরাচরিত লুকেই একগাল হেসেই নতুন এবং বড়সড় কিছু ঘটানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন শিল্পী।
তবে শো হেরে গেলেও এবার শিল্পীর তরফে বড় কিছু করার ইঙ্গিত দেওয়া হল। খানিকটা শাহরুখ খানের ওই সিনেমার ওই বিখ্যাত ডায়লগ টার মতোই অনন্যা বুঝিয়ে দিলেন ‘হার কে জিতনে কো বাজিগর কেহতে হে।’ অন্তত শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখে তেমনই আভাস মিলেছে। এদিন ভক্তদের জন্য বড় কিছুর ইঙ্গিত দিতে দেখা গেল অনন্যাকে।
এদিন ইনস্টাগ্রামে অনন্যার শেয়ার করা ছবিতেই দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বড় টুইস্ট! দেখা যায় হিমেশ রেশমিয়ার ছবির নিচে দাঁড়িয়ে হিমেশের স্টাইলেই দুহাত ছড়িয়ে পোজ দিয়েছেন অনন্যা। পোস্টটিতে স্বয়ং গায়ক হিমেশ রেশমিয়াকে (Himesh Reshmia) ট্যাগ করার পাশাপাশি হ্যাস্ট্যাগে তিনি জুড়ে দিয়েছেন “রেকর্ডিং”(Recording) শব্দটি। যা দেখে একপ্রকার স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ইতিমধ্যে হিমেশের সুরে গান রেকর্ড করে ফেলেছেন অনন্যা।