• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

অধ্যাপকের হাতে মার খেয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন! KBC-এর মঞ্চে নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা

বাকি সকলের মতোই যে তিনিও একজন সাধারণ মানুষ, তার প্রমাণ বারংবার দিয়ে এসেছেন বলিউড (Bollywood) শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন (amitabh bachchan)। সম্প্রতি কেবিসিতে আবারও এমনই এক উদাহরণ দিয়ে পুনরায় অমিতাভ বুঝিয়ে দিলেন যে, ছোটবেলায় আর পাঁচটা দুষ্টু বাচ্চার মতো তাঁরও হাবভাব ছিল। কেবিসির ১২তম সিজনে ‘কর্মবীর’ (karamveer) পর্বে অমিতাভ এমন এক ঘটনার কথা শোনান যাতে জানা যায় যে কলেজ প্রধানের কাছে নাকি মার খেয়েছিলেন তিনি।

কেবিসির (KBC) ওই কর্মবীর পর্বে হটসিটে ছিলেন বিশ্বসেরা শিক্ষকের আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার রঞ্জিতসিনহ দিশালে। হটসিটে তাঁর সঙ্গ দেন খ্যাতনামা অভিনেতা বোমান ইরানি। ওই পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের ভোপালের জাহাঙ্গীরাবাদ গার্লস’ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ঊষা খারে।

   

অমিতাভ বচ্চন Amitabh Bacchan

খেলা চলাকালীন শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের কলেজজীবনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন অমিতাভ। বিগ-বি জানান যে, নৈনিতালের শেরউড কলেজে পড়ার সময় কিভাবে একটি হকিস্টিকে তিনি ও তাঁর বন্ধুরা একটি মৃত বিষধর সাপ ঝুলিয়ে পুরো কলেজ প্রাঙ্গনে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। জানা যায়, ওই সাপটি নাকি অমিতাভ ও তাঁর বন্ধুদের তাড়া করেছিল!

অমিতাভ জানান যে, তখন একটি সাপ মেরে ফেলার বীরত্ব জাহির করার জন্যই ওইভাবে কলেজে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তিনি। যদিও অমিতাভের মতে তাঁদের ‘ব্রিটিশ ম্যান’ অধ্যাপকের কড়া মেজাজের হাত থেকে নিস্তার মেলেনি এই ঘটনায়।

কোন বানেগা কৌড়পতি,কেবিসি,অমিতাভ বচ্চন,kaun banega crorepati,KBC,amitabh bachchan

খেলার মাঝেই মজা করে সবিস্তারে সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করেন বিগ-বি। তাঁর মতে, ওই অধ্যাপকের কারণেই কলেজে কড়া নিয়মানুবর্তিতায় ঘেরা আবহ তৈরি হয়েছিল। ওই অধ্যাপক মিথ্যা কথা একেবারেই সহ্য করতেন না। যথারীতি কলেজ প্রধান যখন জানতে পারেন যে অমিতাভ ও তাঁর বন্ধুরা ওই সাপটিকে মারেন নি এবং তা সত্ত্বেও বুকফুলিয়ে নিজেদের জাহির করে বেড়াচ্ছেন, তিনি তখনই তাঁর ছাত্রদের ‘শিক্ষা’ দেওয়ার কথা ভাবেন।

অমিতাভ বেশ মজা করেই বলেন যে, ‘শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য কলেজ গ্যারাজে প্রত্যেক ছাত্রকে এই কাজের জন্য তেলমাখানো বেতের বাড়ি খেতে হয়। বিগ-বি হাসতে হাসতে জানান, “মার খাওয়ার পরেও ওই প্রিন্সিপালকে ধন্যবাদ জানাতে হত কারণ উনি ছাত্রদের সঠিক ‘শিক্ষা’ দিয়েছেন।” যদিও বেতের বাড়ি পিঠে পড়ার সময় অমিতাভও যে আর পাঁচটা মানুষের মত ককিয়ে উঠেছিলেন, তা আন্দাজ করা এমন কিছু কঠিন নয়।