২০০৭ সালে আমির খানের ‘তারে জামিন পার’ (Taare Zameen Par) ছবিটি মনে আছে নিশ্চই। আসলে আমির খানের (Amir Khan) তৈরী সেরা ছবির মধ্যে অন্যতম একটি এই ছবিটি। গোটা ছবির কেন্দ্রবিন্দু ছিল ছোট্ট ঈশান আওয়াস্তি (ishaan awasthi)। মনে আছে নিশ্চই! ছোট্ট ডট উঁচু সেই ছেলেটাকে। বাকিদের থেকে একটু আলাদা পড়াশোনায় একেবারেই মন ছিল না। তবে শেষে সেই ছেলেই চমকে দিয়েছিল সকলকে। ছোট্ট সেই ঈশানের শিশুশিল্পী ছিল দর্শিল সাফারি (Darsheel Safary)।
মাত্র ৮ বছর বয়সেই হৃদন্ডি ছবিতে পা দিয়েছিল দর্শিল। আর প্রথম ছবি বা ডেবিউ ছবিতেই দুর্দান্ত অভিনয় করে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আজও ছবির গান কানে আসলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে আর মনে পরে যায় ছোট্ট ঈশানের সেই মুখটা। তবে দেখতে দেখতে অনেক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি ২৫ বছরে পা দিয়েছে ঈশান অভিনেতা দর্শিল।
ছোটবেলাতেই বিশাল সাফল্য পেলেও তারপর বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দেখা যায়নি দর্শিলকে। বড় হওয়ার সাথে সাথে জনপ্রিয়ত বাড়েনি বরং কমেছে। এবার নিজের জীবনের ব্যর্থতা না নিয়েই এক সাক্ষাৎকারে অকপট ‘তারে জমিন পর’অভিনেতা দর্শিল।
সাক্ষাৎকারে দর্শিল জানান, ‘২৫ বছর বয়সে জীবনটা ঠিক কেমন হবে সেটা আমায় আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম। কিন্তু বাস্তবে একেবারেই অন্য ঘটছে। আমি ভেবেছিলাম যে ২৫ বছর বয়সে বলিউডে একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হয়ে যাব। আর জীবনটা অনেকটা সহজ হবে’।
আসলে জীবনটাকে অনেকটা সহজভাবে নিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেতা। ভেবেছিলেন সহজেই সবটা হয়ে যাবে, কিন্তু মহামারী তাকে নির্মম বাস্তবতা বুঝিয়ে দিয়েছে। মহামারী লকডাউনের সময় করোনা পরিস্থিতি শেষ হলে যে কি করবেন কোথায় থাকবেন সেটা নিয়েই একপ্রকার আতঙ্ক তৈরী হয়ে গিয়েছিল মনের মধ্যে। তবে সেই সময় বন্ধুরা পাশে ছিল। সকলেই তাকে বুঝিয়েছিল সব ঠিক হয়ে যাবে একটু ধৈর্য ধরতে হবে।
তবে অভিনেতার মতে, বাকিরা এটা বুঝে উঠতে পারছিল না যে একজন অভিনেতার জন্য সময়টাই অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু থেমে যাওয়াটাই আতঙ্কের বিষয় হয়ে উঠেছিল তাঁর কাছে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে, আবারও পুরোনো ছন্দে ফিরেছে বলিউড। দর্শিল জানান, আমির খানের সাথে আজও যোগাযোগ বজায় রেখেছে সে।
আমির খান একাধিকবার সাহায্যও করেছেন তাকে নানা প্রজেক্টে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য। তবে এতকিছুর পরেও বলিউডের নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে দর্শিল। দর্শিলের স্বপ্ন ছিল সারা আলী খান থেকে জাহ্নবী কাপুরের মত তারকাদের সাথে কাজ করা। কিন্তু আজও ভাগ্য ফেরার আশা নিয়েই দিন কাটছে তাঁর।