ভারতের ধনকুবেরদের কথা বললে প্রথম এবং শেষ নাম হিসেবে উঠে আসেন মুকেশ আম্বানি ( Mukesh Ambani)। কেননা সম্পত্তির নিরিখে তার ধারেকাছে এখনও পর্যন্ত কেউ আসতে পারেননি। শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ৭ লক্ষ কোটিরও বেশি সম্পত্তি রয়েছে আম্বানি পরিবারের। তবে লক্ষ কোটি টাকার মালিক হলেও খাবারের দিক থেকেই কিন্তু একেবারে সাধারণ জিনিস দারুণ পছন্দ করে আম্বানি ফ্যামিলি।
কথায় আছে বড়লোকদের লক্ষ টাকার শখ থাকে। আর বিশেষত আম্বানি পরিবারের লোকেদের মারাত্মক দামি জিনিসপত্র নিয়ে হামেশাই আলোচনা হয়। কিন্তু জানলে অবাক হয়ে যাবেন মুম্বাই শহরের নামি দামি মিষ্টির দোকান ছেড়ে এক গ্রামের দোকানের মিষ্টি খেতে সবচাইতে বেশি পছন্দ করেন আম্বানিরা। তবে চিন্তার কারণ নেই! মিষ্টি আনতে গাড়ি বা ট্রেন নয় সোজা হেলিকপ্টারে করে যাওয়া হয়।
হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, গ্রামের দোকান থেকে মিষ্টি আনতে হেলিকপ্টার পাঠায় আম্বানি পরিবার। কোথায় এই গ্রাম? তাহলে বলি, উত্তরপ্রদেশের ছোট্ট একটি গ্রাম তিলহার। সেখান থেকেই এক বিশেষ মিষ্টি অর্ডার দিয়ে আনা হয়। এখন নিশ্চই জানতে ইচ্ছা করছে কি সেই মিষ্টি! যেটা খাবার জন্য হেলিকপ্টার পাঠায় দেশের সবচাইতে ধনী ব্যক্তি?
যেমনটা জানা যায়, বিশেষ এই মিষ্টির নাম হল লঞ্জ, কালাকান্দের মতন করেই তৈরী করা হয়। ঘন দুধ দিয়ে তৈরী এই মিষ্টি খেতে পছন্দ করে পুত্রবধূ টিনা অম্বানি। তাই প্রয়োজন পড়লেই সোজা তিলহার থেকে বানানো হয়ে এই মিষ্টি। আর মিষ্টি আনার জন্য পাঠানো হয় হেলিকাপটার। বিশেষত করোনা মহামারীর জেরে হওয়া ল্যাকডাউনের সময় মিষ্টি আনানোর জন্যই মুম্বাই থেকে উত্তরপ্রদেশের গ্রামে পাঠানো হয়েছিল হেলিকপ্টার।
গ্রামের নাম থেকে মিষ্টির নাম সবই তো হল এখন প্রশ্ন কোন দোকান থেকে মিষ্টি আনান আম্বানিরা? এর উত্তর হল তিলহারের আরজ সুইটস ভান্ডারের থেকে আসে এই বিশেষ মিষ্টি। দোকানের অপারেটর সত্যপ্রকার আর্য বলেন, দুধের তৈরী তিলহারের লঞ্জ লাখনৌ, বারেলি থেকে দিল্লি পর্যন্ত বিখ্যাত। একবার যে এই মিষ্টি খেয়েছে সে এই স্বাদ ভুলতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, এই দোকানের থেকে কিছুটা দূরে শাহজাহানপুরের কাছে রোজা গ্রামেই রয়েছে অনিল আম্বানির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। কয়েক বছর আগে সেখানে অনুষ্ঠানের জন্য বা পার্টিতে মিষ্টি আনা হত। সেই মিষ্টি খেয়েই পছন্দ হয়ে যায় টিনা আম্বানির।