এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশিন দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল হল স্টার জলসার ‘আলতা ফড়িং’ (Alta Fhoring)। ধারাবাহিকে নায়িকা আলতা ফড়িং নস্করের চরিত্রে অভিনয় করে ইতিমধ্যেই বেশ নামডাক হয়েছে অভিনেত্রী খেয়ালি মন্ডল (Kheyali Mondal)-এর। এই সিরিয়ালেই প্রথমবার মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করলেও এটাই কিন্তু খেয়ালীর প্রথম সিরিয়াল নয়।
ইতিপূর্বে কালার্স বাংলায় ‘মৌ-এর বাড়ি’ ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এই কারণেই বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম পরিচিত মুখ খেয়ালি। গ্রামের মেয়ে ফড়িং-এর জিমন্যাস্টিক খেলায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই নিয়ে তৈরি এই সিরিয়াল শুরু থেকেই মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের। ধারাবাহিকে ফড়িং চরিত্রে খেয়ালীর সাবলীল অভিনয় দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসায় ভরিয়ে দেন দর্শকরাও।
সব মিলিয়ে সকলেই জানেন অভিনয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত নাচ করেন খেয়ালি। এই নাচের জন্যই ক্লাস ফাইভ থেকে জিমন্যাস্টিক শিখেছিলেন তিনি। মাত্র দশ বছর বয়স থেকেই বিনোদন জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। শুরু থেকেই তার মায়ের ইচ্ছা ছিল তিনি অভিনেত্রী হিসাবে নিজের মেয়েকে টিভির পর্দায় দেখবেন। তাই বহুদিন ধরে অডিশন ক্রমাগত অডিশন দিয়ে চলেছিলেন খেয়ালি।
কিন্তু কোনো বারই সিলেক্ট হচ্ছিলেন না তিনি। তাই বারবার রিজেক্ট হতে হতে একসময় তিনি নাকি তিনি আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। এমনকি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন আর এইসবের মধ্যে নিজেকে না জড়িয়ে শুধুমাত্র পড়াশোনা আর নিজের নাচ নিয়েই তিনি থাকবেন। এমন সময়ে কলেজে ওঠার পরেই হঠাৎ করে তার কাছে একদিন ফোন আসে আলতা ফড়িং সিরিয়ালে ফড়িং এর চরিত্রে অডিশন দেওয়ার জন্য। তারপর সিলেক্ট হয়ে যাওয়ার পরেও দোটানায় পড়ে গিয়েছিলেন খেয়ালী।
সম্প্রতি টলি টাইম এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন একটা সময় ব্যাকআপ ডান্সার ছিলেন তিনি। আর আর সেই সময় তিনি সিরিয়ালের জন্য প্রচুর অডিশন দিয়েও রিজেক্ট হয়েছিলেন। খারাপ সময়টায় (Bad Time) কিছু লোকজন তাকে কথা শোনাতেও ছাড়েনি। সেই সময় খেয়ালীকে নাকি তারই শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে কেউ একজন বলেছিলেন ‘তোর ওপর কখনও স্পটলাইট থাকবে না। তুই সব সময় পিছনে থাকবি’। আর এখন যখন খেয়ালি অভিনয় জগতে নিজের নাম করেছে তখন তারাই নিজে থেকেই তাকে টেক্সট করে তার প্রশংসা করে।