ইতিমধ্যেই গরম (Summer) পরে গিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রার পারদ চড়ছে বেশ খানিকটা করে। আরে গরমকাল মানেই ত্বকের নানান সমস্যা। রোদে বেড়ালে সান ট্যান তো রয়েছেই, সাথে রয়েছে ঘামের সমস্যা মুখ ব্রণ থেকে শুরু করে হাজারো সমস্যা। তবে ত্বকের যত্ন হোক বা রূপচর্চ অ্যালোভেরা (Aloevera) কিন্তু কাজ করে ম্যাজিকের মত। বাজারে খুব সহজেই অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। তবে জানেন কি আপনি চাইলে বাড়িতেই চাষ করতে পারেন অ্যালোভেরা!
হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন, চাইলে বাড়িতেই চাষ করতে পারেন অ্যালোভেরা। আর শুধু ত্বকের নয় চুলের যত্নেও ব্যবহার করা যেতে পারে এই অ্যালোভেরা। যার ফলাফল কিন্তু সর্বদাই বেশ সন্তুষ্টিজনক। আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক কিভাবে বাড়িতেই টবের মধ্যে চাষ করা সম্ভব অ্যালোভেরা।
আমাদেরই সকলেরই কমবেশি চাষের সন্মন্ধে ধারণা রয়েছে। সুতরাং সকলেই জানি চাষের জন্য প্রথমেই যেটা প্রয়োজন সেটা হল মাটি। আর অ্যালোভেরা চাষের জন্য প্রথমেই মাটি তৈরী করে নিতে হবে। এর জন্য টব বা বাগানের এক কোন মাটির সাথে কোকো পিট, সাদা বালি বা পলি মাটি, অল্প কিছুটা ডিমের খোসা গুঁড়ো ও জৈব সার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। জৈব সার যেকোনো বীজ ও স্যারের দোকানে খুব সহজেই কিনতে পাওয়া যাবে।
মাটি তৈরী হয়ে গেলে অ্যালোভেরা চারা কিনে আনতে হবে। সেই এলোভেরা চারা গাছ তৈরী করা মাটিতে হবে। অ্যালোভেরা চাষের সবচাইতে বড় সুবিধা হল এর জন্য আলাদা করে কোনো খেয়াল না রাখলেও হয়। একটু ছায়াযুক্ত পরিবেশে থাকলেই অ্যালোভেরা গাছ যত্ন ছাড়াও দিব্যি বেড়ে ওঠে। অনেকে আবার তবে অ্যালোভেরা চাষ করেন ও রাতের দিকে ঘরের ভেতরে ঢুকিয়ে রাখেন অ্যালোভেরা গাছ।
অ্যালোভেরা গাছের খুব বেশ জলেরও প্রয়োজন হয়না। যার ফলে মাঝে মধ্যে এক আধবার জল দিলেই হবে, রোজ জল না দিলেও কোনো অসুবিধা নেই। এভাবে কিছু দিন যাবার পরেই দেখবেন অ্যালোভেরা গাছের পাশ থেকে ছোট ছোট অ্যালোভেরা চারা গজাতে শুরু করেছে। তখন নতুন চারাগুলি সাবধানে তুলে অন্যত্র বা অন্য টবে বসিয়ে দিলেই হবে। এবার শুধু অপেক্ষা করতে হবে অ্যালোভেরা গাছটি বেড়ে ওঠার জন্য। বেড়ে উঠলেই আপনি ধুয়ে নিয়েই সরাসরি অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন।