এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে (Television) সম্প্রচারিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক (Serial) হল জি বাংলার (Zee Bangla) ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagaddhatri)। গত দু’মাস ধরে টিআরপি লিস্টে দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে এই সিরিয়াল। এর আগে বেশ কয়েকবার বেঙ্গল টপারও হয়েছে ‘জগদ্ধাত্রী’। জ্যাস সান্যাল এবং তাঁর স্বামী স্বয়ম্ভূ (Swayambhu) মুখোপাধ্যায়ের জুটি বেজায় পছন্দ দর্শকদের। এই স্বয়ম্ভূর চরিত্রে অভিনয় করেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা আদায় করে নিয়েছেন অভিনেতা সৌমিদীপ মুখোপাধ্যায় (Soumyadeep Mukherjee)।
জ্যাস যখন দুষ্টের দমন করতে ব্যস্ত, তখন সর্বক্ষণ তাঁর পাশে থাকেন স্বামী স্বয়ম্ভূ। জ্যাস-স্বয়ম্ভূর দুষ্টু-মিষ্টি রসায়নও খুব পছন্দ দর্শকদের। ‘জগদ্ধাত্রী’র হাত ধরেই আস্তে আস্তে ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন স্বয়ম্ভূ অভিনেতা সৌম্যদীপ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বেশ কয়েকটি ফ্যান পেজও তৈরি হয়ে গিয়েছে। সৌম্যদীপের অভিনয়ে আসা কীভাবে আজ সেই কাহিনীই জেনে নেওয়া যাক।
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের তরফ থেকে পর্দার স্বয়ম্ভূর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। অভিনেতা জানান, ‘আমি হাওড়ার ছেলে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পর পা রেখেছিলাম মডেলিং জগতে। নিজেকে ক্যামেরার সামনে দেখার ইচ্ছা আমার বরাবর ছিল। এরপর আমার কাছে বেশ কিছু বিজ্ঞাপনের সুযোগ আসে’।
যদিও মডেল হিসেবে আস্তে আস্তে পরিচিতি বাড়ছিল বলে সৌম্যদীপ কিন্তু পড়াশোনা বন্ধ করে দেননি। নাইট কলেজে পড়তেন তিনি। অভিনেতা বলেন, ‘এসবের সঙ্গে পড়াশোনাও চালিয়ে গিয়েছি। আমি নাইট কলেজে পড়তাম। ২০১৭ সালে মডেল হিসেবে আমার কাছে একটা বড় কাজের সুযোগ এসেছিল। এরপর ‘ত্রিশূল’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ পাই। এরপর বাকিটা তো সকলেই জানেন’।
হাওড়ার ছেলে সৌম্যদীপের ফোকাস এখন শুধু ‘জগদ্ধাত্রী’। পর্দার স্বয়ম্ভূ বলেন, ‘জগদ্ধাত্রী এমন একটা কাহিনী যেটা দেখতে দর্শকদের কখনও একঘেয়েমি আসবে না। সেই জন্যই হয়তো আমাদের দর্শক এত পছন্দও করেন’। যদিও সৌম্যদীপ এও জানান, টিআরপির নম্বর নিয়ে তিনি খুব বেশি ভাবেন না। বরং ভালো কাজ করে যাওয়াই হচ্ছে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
হাওড়ার বাড়ি থেকে প্রত্যেকদিন বেহালার স্টুডিওয় আসেন সৌম্যদীপ। কাজ শেষে আবার হাওড়াতেই ফেরেন। বাবা-মার সঙ্গেই থাকেন তিনি। আপাতত অভিনেতা হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ভিত শক্ত করাই লক্ষ্য সৌম্যদীপের। পর্দার স্বয়ম্ভূ এই বিষয়ে বলেন, ‘আমি পরিকল্পনায় তেমন বিশ্বাস রাখি না। যেমন কাজের সুযোগ পাব, সেভাবেই নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাব’।