বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। নিজের তুখোড় অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে এককালে গোটা বঙ্গবাসীর মনে রাজত্ব করেছেন তিনি। একসময় টলিউডের নম্বর ওয়ান হিরোইন বলা হতো তাঁকে। যদিও শুধুমাত্র বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই নয়, বলিউডেও কাজ করেছেন তিনি।
অজয় দেবগণ, রাজপাল যাদবের মতো নামী অভিনেতাদের সঙ্গে ক্রিন শেয়ার করেছেন ঋতুপর্ণা। এছাড়া ‘দেশি গার্ল’ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তাঁর খুব ভালো বন্ধু। এত নামকরা তারকা হলেও ঋতুপর্ণা নিজের ব্যক্তিগত জীবন কিন্তু বরাবর পর্দার আড়ালেই রেখেছেন। অভিনেত্রীর স্বামী-সন্তানদের খুব একটা দেখেনি অনুরাগীরা। আজকের প্রতিবেদনে অভিনেত্রীর পরিবারের (Rituparna Sengupta Family) বিষয়েই নানান অজানা তথ্য তুলে ধরা হল।
বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে সম্পর্কে ভাঙা-গড়া লেগেই থাকে। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেকসময়ই মন দেওয়া-নেওয়া হয় তারকাদের। একসময় গুঞ্জন শোনা যেত, ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিতের পর্দার প্রেমও বাস্তবে গড়িয়েছে। তবে সেসব গুঞ্জনে জল ঢেলে ১৯৯৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর সঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন টলি সুন্দরী।
বিয়ের পর থেকে সঞ্জয় এবং ঋতুপর্ণা একে অপরের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন। হাজার ঝড় ঝাপটা এলেও কখনও একে অপরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেননি তাঁরা। গত ২৩ বছর ধরে স্বামী এবং ছেলেমেয়েকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন অভিনেত্রী।
ঋতুপর্ণার স্বামী সঞ্জয় পেশায় ব্যবসায়ী। অভিনেত্রীর স্বামী এবং সন্তানরা সিঙ্গাপুরে থাকেন। সেখানেই তাঁদের নিয়ে থাকেন টলি সুন্দরী। তবে শিকড়ের টানে এবং কাজের সূত্রে মাঝেমধ্যেই কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। কাজ না থাকলে আবার ফিরে যান সিঙ্গাপুরে, নিজের পরিবারের কাছে।
অপরদিকে যদি ঋতুপর্ণার কাজের নিরিখে বলা হয়, একসময় টলিউড কাঁপালেও এখন ভীষণ বেছে বেছে কাজ করেন তিনি। চিত্রনাট্য পছন্দ হলেই তবে ‘হ্যাঁ’ বলেন তিনি। শীঘ্রই আবার নায়িকাকে থ্রিলার ঘরানার ছবি ‘শিকার’এ দেখা যাবে। এছাড়াও তাঁর হাতে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি ‘স্পর্শ’।