বাংলা সিনেমা (Bengali Cinema) প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন বিশ্বনাথ বসু (Biswanath Basu)। দীর্ঘ ২ দশকের বেশি সময় ধরে নিজের নিখুঁত অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছেন এই অভিজ্ঞ অভিনেতা। ছোটো পর্দা হোক কিংবা বড় পর্দা সর্বত্র দাপিয়ে অভিনয় করে চলেছেন এই দাপুটে অভিনেতা। পার্শ্ব চরিত্রের অভিনেতা হয়েও আট থেকে
প্রসঙ্গত অনেকেই হয়তো জানেন না বসিরহাটের বাদুড়িয়া থেকে উঠে আসা এই তারকা আসলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বর্ধমানে। শূন্য থেকে শুরু করলেও এই অভিনেতার আত্মবিশ্বাসের কমতি ছিল না কোনদিনই। গানের জগতে কুমার শানু আর অভিনয় জগতে মিঠুন চক্রবর্তীই হলেন তাঁর অনুপ্রেরণা। সকলেই জানেন দুর্দান্ত অভিনয়ের মতোই বিশ্বনাথের গানের গলাও অসাধারণ।
অভিনেতা নিজেও মনে করেন পৃথিবীতে তাঁর কাছে অভিনয় না থাকলেও কোনো হোটেল কিংবা বারে গান গেয়েও চালিয়ে দিতে পারবেন নিজের জীবনটাকে। সম্প্রতি সিটি সিনেমার বিখ্যাত ঠোঁটকাটা সেগমেন্টে হাজির হয়েছিলেন এই অভিনেতা। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন নিজের অভিনয় জীবন থেকে ব্যক্তিগত জীবনের নানান ওঠাপড়ার অজানা কাহিনী। ভারী চেহারার জন্য ক্যারিয়ারের শুরুতে নানা কথা শুনতে হয়েছিল বিশ্বনাথকে।
তথাকথিত নায়ক শুলভ চেহারা না থাকায় অনেকেই তাঁকে বলেছিলেন ‘কত বড় তাপস পাল হবে জানা আছে!’ চেহারার জন্য বাবার কাছেও শুনতে হয়েছিল একই কথা। এরিন অভিনেতা জানান তাঁর বাবাও নাকি ছিলেন খুবই গুরুগম্ভীর একজন মানুষ। কিন্তু তিনিও সিনেমাতে পার্শ্ব চরিত্রদের দেখে খুবই আনন্দ পেতেন। তাই সেখান থেকেই তার পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করা যাত্রাটা শুরু হয় বিশ্বনাথের।
সিনেমা নিয়ে নিয়মিত অধ্যাবসায় পড়শোনা কিংবা সিনেমা দেখা এবং বিবেকানন্দের মত মনীষীদের নিয়ে পড়াশোনা করা এইভাবেই নিজেকে তৈরি করেছিলেন বিশ্বনাথ। এদিনের সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন অভিনয় জীবনে তাঁর সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের। সাক্ষাৎকারে জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে এদিন বিশ্বনাথ জানিয়েছেন তিনি একবার একটা এওয়ার্ড পাওয়ার পর একজন জনপ্রিয় অভিনেতা তাঁকে বলেছিলেন ‘ওই আওয়ার্ডটার ওপর দুপুরবেলা ভাত মেঝে খাস’।
অভিনেতার জীবনে তাঁর মা ছিলেন শিক্ষাক্ষেত্র। তিনি নাকি বিশ্বনাথকে বলেছিলেন ‘দুথালা ভাত খেয়ে হজম করতে পারিস, আর মানুষের দুটো কথা হজম করতে পারিস না। এছাড়া এদিন জানা যায় প্রথম দিন এন্টি ওয়ান স্টুডিওতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বিশ্বনাথকে। সে সময় নায়কের বন্ধুদের চরিত্রে অভিনয় করায় সেভাবে তাকে চিনতেন না কেউ। তবে জীবনে কোন কিছু নিয়েই আফসোস নেই এই অভিনেতার। আসলে তিনি বিশ্বাস করেন তিনি যতটুকু পেয়েছেন তাতেই তিনি সন্তুষ্ট।