বাংলা সিনেমা (Bengali Cinema) জগতে তথা গোটা টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে এখনকার প্রজন্মের জনপ্রিয় সুপারস্টারদের (Superstar) কথা উঠলে সবার প্রথমেই আসে একটাই নাম। তা হল দেব অধিকারী (Dev Adhikari)। বাংলা সিনেমাকে একটু একটু করে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যেতে দিনরাত রক্ত জল করা পরিশ্রম করে চলেছেন অভিনেতা। যা বারবার মন জয় করে নেয় দেব ভক্তদের।
জানা যায় বাংলা সিনেমার ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য সফল চারটি সিনেমার মধ্যে তিনটিই দেবের। অভিনয়ের পাশাপাশি দেব ইতিমধ্যেই হাত পাকিয়েছেন প্রযোজনাতেও। প্রযোজক হিসেবে দেবের শেষ ছবি ‘প্রজাপতি’ বক্স অফিসে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। সব মিলিয়ে আজ সাফল্যের শিখরে থাকা। বাংলার জনপ্রিয় সুপারস্টার তিনি।
কিন্তু অভিনেতার জীবনে এই সাফল্য কিন্তু রাতারাতি আসেনি। ‘অগ্নিশপথ’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ের হাতে খড়ি হলেও সাফল্যের মুখ দেখেনি সেই সিনেমা। এর পরেই ২০০৭ সালে মুক্তি পায় দেবের দ্বিতীয় সিনেমা ‘আই লাভ ইউ’। এই সিনেমার পরেই রাতারাতি বদলে যায় অভিনেতার ভাগ্য। তখনকার দিনে নতুন নায়ক দেবকে ঘিরে অনুরাগীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
কিন্তু অভিনেতা হওয়ার আগে দেবের কাহিনী দারুন অনুপ্রেরণা জোগায় অনুরাগীদের। জানা যায় অভিনয়ে আসার আগে মুম্বাইয়ের সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন দেবের বাবা। পেশায় ক্যাটারার ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। বিনোদন জগতের তারকাদের খাবার দিতেন দেবের বাবা। আর বাবার সহকারী হিসেবে কাজ করার সুবাদে লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনে দুনিয়াকে খুব কাছ থেকেই দেখেছিলেন তিনি।
সেই থেকেই দেবের মধ্যে অভিনেতা হওয়ার জেদ চেপেছিল প্রচন্ড।একবার অনুরাগ বসুর টকশো ‘কে হবে বিগেস্ট ফ্যান’-এ এসেছিলেন দেব। সেখানে দেবের কাছে পরিচালকের প্রশ্ন ছিল ‘আমি শুনেছি সব টিফিন যখন বাড়ি থেকে চলে আসতো পুরো ঘরটা তুমি মুছতে। সেখান থেকে তুমি আজ এখানে’। এ প্রসঙ্গে দেবের অনুভূতির কথা জানতে চাওয়া হলে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।
এরপরে নিজেকে খানিকটা সামলে নিয়ে অভিনেতা বলতে শুরু করেন ‘আমি অনেক বাসন ধুয়েছি। হয়তো তোমার থালাও ধুয়েছি’। এছাড়া দেব জানান অনুরাগ বসুকে তিনি অনেক আগে থেকে চেনেন। দেবের কথায় ‘শুটিংয়ে দেখেছি। অনেকবার ছবিও দিয়েছি’। এরপরেই দেব জানান ‘অনেকবার এমনও হয়েছে অনুরাগদা খাবার খেয়েছে সেই প্লেট আমি ধুয়েছি। সেখান থেকে আজ তোমার সামনে বসে আছি এটা আমার কাছে স্বপ্ন’।