আজ বলিউডের (Bollywood) ‘ভাইজান’ সলমন খানের জন্মদিন (Salman Khan birthday)। ৫৭ বছরে পা দিলেন অভিনেতা। সকাল থেকেই ভাসছেন শুভেচ্ছাবার্তার বন্যায়। বলিউডের অন্যতম চর্চিত এই অভিনেতা নিজের জীবনে জড়িয়েছেন একাধিক বিতর্কে। আজকের এই প্রতিবেদনে সলমনের (Salman Khan) অজানা জীবনকাহিনী তুলে ধরা হল।
১৯৬৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্ম সলমনের। নামী লেখক সেলিম খান এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী সলমা খানের ঘরে জন্ম তাঁর। অভিনেতার দুই ভাই এবং দুই বোনও রয়েছে। সলমন, তাঁর মা-বাবা এবং সৎ মা হেলেন- এখনও সবাই একসাথেই থাকেন।
বলিউডের ভাইজান পড়াশোনা করেছেন গোয়ালিওরের সিন্ধিয়া স্কুল এবং মুম্বইয়ের সেন্ট স্ট্যানিসলাস হাই স্কুলে। এরপর মুম্বইয়েরই সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন তিনি। যদিও স্নাতক স্তরের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেননি তিনি।
১৯৮৮ সালে ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ ছবির মাধ্যমে বলিউড ডেবিউ করেছিলেন ভাইজান। পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করলেও নজর কেড়েছিলেন তিনি। অভিনেতার কেরিয়ারে মোড় ঘুরিয়ে দেয় ১৯৮৯ সালে রিলিজ হওয়া সুরজ বরজাতিয়ার ছবি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’। এই ছবির পর থেকে আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি ভাইজানকে। এরপর থেকে শুধুই এগিয়ে যাওয়ার পালা।
যদিও একদিকে যেমন সাফল্য, যশ, খ্যাতি অর্জন করছিলেন, তেমনই একাধিক বিতর্কেও জড়াচ্ছিল সলমনের নাম। অভিনেতার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন একাধিক প্রাক্তন প্রেমিকা। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, গাড়ি দিয়ে ৫ ফুটপাথবাসীকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ। যাদের মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছিল। শুধু এগুলিই নয়, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির সময় ভাইজান দু’টি কৃষ্ণসার হরিণের শিকার করেছিলেন বলেও শোনা যায়। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি।
তবে সব বিতর্ক পিছনে ফেলে সলমন সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন। সেই সঙ্গেই এত বিতর্ক সত্ত্বেও ‘মানবদরদী’ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন অভিনেতা। ২০০৭ সালে ‘বিয়িং হিউম্যান ফাউন্ডেশন’এর প্রতিষ্ঠা করেন ভাইজান। সেই সংস্থার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের পড়াশোনা, স্বাস্থ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করে থাকেন সলমন। নিজের অভিনয়ের পাশাপাশি এই কাজের মাধ্যমেও কোটি-কোটি মানুষের মন জিতে নিয়েছেন পর্দার ‘টাইগার’।