আমাদের দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলের (Indian Idol) মঞ্চ থেকে উঠে আসা গানের জগতের অন্যতম একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র অভিজিৎ সাওয়ান্ত (Abhijit Sawant)। প্রায় ২০ বছর আগে ২০০৪ সালে ইন্ডিয়ান আইডলের প্রথম সিজনের বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। সে সময় অভিজিৎ সাওয়ান্তের এক ঝলক দেখার জন্য পাগল ছিলেন অনুরাগীরা।
এই একটা রিয়েলিটি শো থেকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন গায়ক। এরপর একের পর এক গানের রেকর্ডও করেছিলেন তিনি। বেরিয়েছিল তাঁর একাধিক গানের অ্যালবামও। সবমিলিয়ে সেই সময় সারা দেশের এই তরুণ গায়কের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু হলে কি হবে! ইঁদুর দৌড়ের লড়াইয়ে বলিউডে সেভাবে নিজের জায়গাই তৈরি করতে পারেননি এই প্রতিভাধর শিল্পী।
তাই সাফল্য আসলেও নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি অভিজিৎ। রিয়েলিটি শোয়ের বিজয়ী হয়ে জনপ্রিয়তা পেলেও তাঁর জায়গা হয়নি বলিউডে। তবে একটা সময় ‘আশিক বানায়া আপনে’, ‘তিস মার খান’, এবং ‘ডিশুম’-এর মতো একাধিক জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমায় গান গেয়ে ছিলেন তিনি।
কিন্তু প্রতিভা থাকলেও অকালেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে একবার এক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে অভিজিৎ বলেছিলেন ‘প্লে ব্যাক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগ অনেক আছে। কিন্তু একজন গডফাদার থাকাও প্রয়োজন। তিনি পথ দেখিয়ে দিলে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যায়।’
কাজের অভাব হলেও দর্শকমহলে কিন্তু অভিজিতের জনপ্রিয়তায় ফিকে হয়নি। তাই একদিকে জনপ্রিয়তা অন্যদিকে কাজের অভাব। দুই মিলে জীবনের এক অদ্ভুত পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়েছিল গায়ককে। এপ্রসঙ্গে নিজের এক অভিজ্ঞতা শেয়ার করে একবার তিনি জানিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান আইডলের পর তিনি কাজ খুঁজতে একবার এক সঙ্গীত পরিচালকের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
কিন্তু সেখানে তাকেই দেখার জন্য নাকি ব্যাপক ভিড় জমিয়েছিলেন তার অসংখ্য অনুরাগীরা। অথচ কি কারণে এত ভিড় বুঝতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সেই সংগীত পরিচালক নিজেই নাকি বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। অভিজিতের কথায় ‘এটা একটা অদ্ভুত পরিস্থিতি। একদিকে লোকজন আমাকে এক ঝলক দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিল। অন্যদিকে আমাকে কাজ খুঁজতে হচ্ছিল।’