মডেলিংয়ের দুনিয়ায় ‘মিস ইউনিভার্স’এর (Miss Universe) মতো সম্মানীয় প্রতিযোগিতা খুব কমই রয়েছে। আর এই প্রতিযোগিতার মঞ্চে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা ঠিক কতখানি গর্বের তা যারা করেছেন তাঁরাই জানেন। আজকের প্রতিবেদনে ৭১তম ‘মিস ইউনিভার্স’এর মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্বকারী দিভিতা রাইয়ের (Divita Rai) পরিচয় তুলে ধরা হল।
দিভিতা কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরের মেয়ে। মুম্বইয়ের জেজে কলেজ অফ আর্কিটেকচার থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। আর্কিটেকচার নিয়েই স্নাতক তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি এই মডেল বেশ কিছু সিনেমার সেটের ডিজাইনও করেছেন। তবে দিভিতার দু’চোখে স্বপ্ন ছিল ‘মিস ইউনিভার্স’ হওয়ার।
‘বিশ্ব সুন্দরী’ হওয়ার এই স্বপ্ন চোখে নিয়েই ২০২১ সালে দিভিতা অংশগ্রহণ করেছিলেন ‘মিস ডিভা ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায়। সেই প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি। তবে তাই বলে থেমে যাননি তিনি। পরের বছর ২০২২ সালে ফের ‘মিস ডিভা ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। এই বার আর নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়নি তাঁকে। প্রথম স্থান অর্জন করেন কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরের এই মেয়েই।
পড়াশোনার পাশাপাশি দিভিতার বরাবর মডেলিং এবং খেলাধূলায় আগ্রহ ছিল। এছাড়াও তিনি যুক্ত ছিলেন সমাজ-সেবামূলক কাজের সঙ্গেও। বিভিন্ন সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি মহিলাদের অধিকার সহ বহু সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন।
এছাড়াও পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এবং নারী শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কথাও বারবার বলেছেন দিভিতা। ২০২১ সালে মারণরোগ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের জন্য একটি তহবিল তৈরি করেছিলেন ‘মিস ইউনিভার্স’এ ভারতের প্রতিনিধিত্বকারী এই মডেল। তাঁর অনুপ্রেরণা ১৯৯৮ সালের ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাব জয়ী বঙ্গ তনয়া সুস্মিতা সেন।
View this post on Instagram
২৫ বছরের এই মডেলকে ‘মিস ইউনিভার্স’এর মঞ্চে ‘সোনে কি চিড়িয়া’ তথা ‘সোনার পাখি’ হিসেবে দেখা গিয়েছে। এই পোশাকটির মাধ্যমে তিনি দেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছিলেন। নিজেকে শান্তি এবং পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছিলেন দিভিতা। সোনালি রঙের এই পোশাকটি ডিজাইন করেছিলেন ডিজাইনার অভিষেক শর্মা।