বলিউডের নামী নায়কদের (Bollywood actor) নামের তালিকা তৈরি করা হবে এবং সেখানে গোবিন্দার (Govinda) নাম থাকবে না তা সত্যিই হয় না। যেমন অভিনয়, তেমনই দুর্দান্ত কমিক টাইমিং আর নাচের দক্ষতা গোবিন্দা হওয়া চারটিখানি কথা নয়। নব্বইয়ের দশকে একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।
আজ বলিউডের ‘হিরো নম্বর ১’ই ৫৯ বছরে পা দিলেন। আজকের প্রতিবেদনে সাফল্যের শীর্ষে ওঠার পর নয়, বরং সফল হওয়ার আগে গোবিন্দার জীবনসংগ্রামের অজানা কাহিনী তুলে ধরা হল। বলিউডের নামী নায়ক হওয়ার আগে গোবিন্দা যে কত কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন সেই গল্পই জেনে নেওয়া যাক আজ।
বলিউডের অন্যতম নামী অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম বিরারের একটি চউলে। তাঁর বাবা অরুণ আহুজাও ছিলেন বিনোদন দুনিয়ার মানুষ। কিন্তু পর্দার ‘হিরো নম্বর ১’এর জন্মের আগেই তাঁর বাবার প্রযোজিত একটি সিনেমা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। এরপর থেকেই আহুজা পরিবারের লড়াই শুরু।
১৯৯৭ সালে একটি নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় গোবিন্দা জানিয়েছিলেন, এক সময় তাঁর পরিবারের কাছে মুদিখানার জিনিস কেনার টাকাটুকুও ছিল না। অভিনেতার কথায়, ‘দোকানের মালিক আমায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখত। কারণ ও জানত আমি বাকিতে জিনিস নেব। আমি একবার বলেছিলাম যে দোকানে যেতে চাই না। একথা শুনে আমার মা কাঁদতে শুরু করে দেন। মায়ের সঙ্গে আমিও খুব কেঁদেছিলাম’।
গোবিন্দার যখন ২১ বছর বয়স, তখনও তাঁকে কেউ চিনত না। কিন্তু ২২ বছর হতে না হতেই ৫০টি সিনেমা সই করে ফেলেছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে ‘ইলজাম’ ছবির মাধ্যমে ডেবিউ করার পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি গোবিন্দাকে।
গত কয়েক দশকে দর্শকদের একাধিক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন ‘হিরো নম্বর ১’। ‘লাভ ৮৬’, থেকে শুরু করে ‘আঁখে’, ‘রাজা বাবু’, ‘হিরো নম্বর ১’, ‘পার্টনার’- এই লিস্টটি নেহাত কম নয়। প্রায় চার দশক দীর্ঘ কেরিয়ারে ১৫০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। একবার এক সাক্ষাৎকারে অস্কার জেতার স্বপ্ন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গোবিন্দা বলেছিলেন, ‘অনেকে বলে আমি ঠিক করে ইংরেজি বলতে পারি না, অস্কার জিতব কীভাবে? কিন্তু আমি যদি শূন্য থেকে গোবিন্দা হতে পারি, তাহলে গোবিন্দা থেকে তো অবশ্যই কিছু একটা হতেই পারি’।