বাংলা টেলিভিশন দুনিয়ার অন্যতম নামী লেখিকা হলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Gangopadhyay)। দর্শকদের কাছে লীনা অত্যন্ত পরিচিত নাম। তাঁর লেখা ধারাবাহিক (Serial) মানেই সেগুলি সুপারহিট। দর্শকদের একাধিক সুপারহিট বাংলা ধারাবাহিক উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে জানেন কি, প্রায় দু’দশক ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে কাজ করা এই লীনাই একসময় সিরিয়াল দেখতে একেবারেই পছন্দ করতেন না। এমনকি বাড়িতে কেউ দেখতে বসলেও নাকি তিনি ঘুরিয়ে দিতেন।
বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় লীনার কেরিয়ার শুরু ২০০৪ সালে। ইটিভি বাংলার ‘সোনার হরিণ’ দিয়ে যাত্রা শুরু তাঁর। এরপর থেকে গত ১৮ বছর ধরে চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘সুবর্ণলতা’, ‘সাত পাকে বাধা’, ‘ইষ্টি কুটুম’, ‘খড়কুটো’র মতো একাধিক স্মরণীয় সিরিয়াল। আজকের প্রতিবেদনে সেই লীনার জীবনের অজানা কাহিনীই তুলে ধরা হল।

লীনার স্কুল জীবন কেটেছিল কমলা গার্লস স্কুল এবং সিস্টার নিবেদিতা স্কুলে। এরপর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেন তিনি। পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর একটি কলেজে বাংলার অধ্যাপিকা হিসেবে কেরিয়ার শুরু করে লীনা।
লেখালেখির সঙ্গে অবশ্য শুরু থেকেই নিবিড় সম্পর্ক ছিল বাংলা সিরিয়ালের জগতের এই নামী লেখিকার। অধ্যাপিকা হিসেবে কাজ করার সময়ই একটি প্রোডাকশন হাউসের তরফ থেকে লীনার কাছে একটি সিরিয়ালের গল্প লেখার প্রস্তাব আসে। সেই থেকেই বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় তাঁর পথচলা শুরু।

লীনার লেখা গল্প মানেই সেগুলি একেবারে সুপারহিট। তাঁর লেখা গল্পের সঙ্গে অতি সহজেই দর্শকরা যেন একাত্মবোধ করতে পারেন। হয়তো সেই কারণেই হয়তো দুষ্টু-রাজা, রোদ্দুর-মহুল, সৌজন্য-গুনগুনরা দর্শকদের কাছে একেবারে ঘরের মানুষ হয়ে গিয়েছিলেন।

২০০৪ সাল থেকে বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় চুটিয়ে কাজ করা লীনার বেশ কিছু ধারাবাহিক এখন দর্শকদের মনে একেবারে গেঁথে রয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ‘কেয়া পাতার নৌকো’, ‘কুসুম দোলা’, ‘অন্দরমহল’এর মতো একাধিক ধারাবাহিকের। এখনও টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রচারিত বেশ কিছু জনপ্রিয় ধারাবাহিকের লেখিকা হলেন লীনা। ‘ধুলোকণা’, ‘গুড্ডি’, ‘এক্কা দোক্কা, ‘সোওনা রোদের গান’, ‘সুন্দরী’র লেখিকা কিন্তু এই লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ই।














