এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) সিরিয়ালের প্রধান নায়িকা দীপা (Deepa) অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষ (Swastika Ghosh)। আজ থেকে বছর দেড়েক আগে মানুষ হয়তো তাঁকে চিনতেন না। তবে অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালের নায়িকা হয়েই রাতারাতি ভাগ্যটাই যেন বদলে গিয়েছে এই অভিনেত্রীর।
রায়দিঘির মেয়ে স্বস্তিকা একটা সময় অভিনয়ের স্বপ্ন পূরণ করতেই করেছেন কঠিন লড়াই। লম্বা ট্রেন জার্নি করে শহর কলকাতায় আসতেন অডিশনের খোঁজে। এই নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে স্বস্তিকার অভিনয় জীবনের বয়স চার বছর। এর আগে সান বাংলার সরস্বতী প্রেম সিরিয়ালে প্রধান চরিত্রের জন্য অডিশন দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রধান চরিত্রের জন্য সিলেক্ট না হলেও পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
সেখান থেকেই একেবারে সোজা স্টার জলসার বেঙ্গল টপার সিরিয়ালের প্রধান নায়িকা। পার্শ্বচরিত্র থেকে প্রধান নায়িকা অভিনয় জীবনের এই সফর নিয়ে সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সাথে এক খোলামেলা আড্ডায় বসে ছিলেন অভিনেত্রী।সেখানে স্বস্তিকা জানিয়েছেন ‘ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সব মিলিয়ে চার বছর হল। ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রী হব। স্বপ্ন, ইচ্ছে, জেদ আর বাবা-মা’র আর্শীবাদ না থাকলে বোধহয় এখানে আসতে পারতাম না।
এদিন স্বস্তিকা জানান ২০১৯ সাল থেকে তিনি আমি টলিপাড়ায় অডিশন দিচ্ছেন। স্বস্তিকার কথায় ‘লম্বা ট্রেন জার্নি করে এখানে আসা, সেইদিনগুলো আজও মনে রয়েছে। ‘সান বাংলা’য় সরস্বতীর প্রেমে লিড হিসাবেই অডিশন দিয়েছিলাম তবে পার্শ্ব চরিত্রে আমাকে বাছা হয়েছিল। আমার জার্নিটা খুব কঠিন ছিল, এমনটা বলব না। আমি ছ’মাস মতো স্ট্রাগল করেছি।’
এছাড়াও অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালের সূর্য অভিনেতার দিব্যজ্যোতির সাথে স্বস্তিকার অফস্ক্রিন বন্ডিংটাও কিন্তু দুর্দান্ত। যা দেখে দর্শকদের একটা বড় অংশ ভাবতে শুরু করেছেন তাদের পর্দার প্রেম বোধ হয় গড়িয়েছে বাস্তবে। এপ্রসঙ্গে এদিন স্বস্তিকা জানিয়েছেন তিনি খুব সহজে বন্ধু বানাতে পারেন না। স্বস্তিকার কথায় ‘দিব্যর সঙ্গে আমার মেন্টালিটি ম্যাচ করে। আমি খুব বেছে বন্ধু বানাই। হঠাৎ করে কাউকে বন্ধু বানাতে পারি না। ওর সঙ্গে আমার খুব স্ট্রং বন্ধুত্ব। তাই হয়তো দর্শকের মনে হয় আমরা প্রেম করি। সেটা কিন্তু একদম নয়’।
এছাড়া এদিন স্বস্তিকার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল অনুরাগের ছোঁয়ার দীপার কাছ থেকে তিনি নিজে কি শিখলেন? জবাবে এদিন অভিনেত্রী স্পষ্ট জানান ‘এই বয়সে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হচ্ছে। বিয়ের পরের জীবন কেমন হয়, বাচ্চা মানুষ কীভাবে করতে হয়, সেটা শিখছি। আমি এখন রাগ কন্ট্রোল করতে শিখে গিয়েছি। সোনা-রূপার মা হয়ে ধৈর্য্যশীল হয়ে পড়েছি।’